কলকাতা: একইদিনে বেহালা (Behala), ঠাকুরপুকুরে (Thakurpukur) জোড়া হামলা (Twin Attack)। সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ প্রথম ঘটনাটি ঘটে বেহালার বামাচরণ রায় রোডে। অভিযোগ, পরিচিত যুবক মা ও মেয়ের ওপর রড ও ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। দু’ জনকে এলোপাথাড়ি কোপানোর পর, ওই পাড়াতেই দিদির বাড়িতে আশ্রয় নেয় অভিযুক্ত বাপ্পা নিয়োগী। পরে তাকে গ্রেফতার করে বেহালা থানার পুলিশ (Behala Police Station)। গুরুতর জখম মা-মেয়ে বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। মাথা, হাত মিলিয়ে মেয়ের শরীরে ৩৬টি সেলাই পড়েছে।
এরপরের ঘটনা ঘটে ঠাকুরপুকুরের আনন্দনগরে (Anandanagar)। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বাজার সেরে ফেরার পথে, দম্পতির ওপর ছুরি নিয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে এক যুবকের বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম দম্পতি এসএসকেএমে ভর্তি (SSKM Hospital)। হামলাকারীকে গ্রেফতার করেছে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ (Thakurpukur Police Station)। ধৃত যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি স্থানীয়দের।
সল্টলেকে (Saltlake) এক মহিলার ওপর অ্যাসিড হামলার (Acid Attack) ঘটনায় দিনকয়েক আগে গ্রেফতার করা হয় আক্রান্তের প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গীকে। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) গাইঘাটা (Gaighata) থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে বিধাননগর পূর্ব (East Bidhannagar) থানার পুলিশ (Bidhannagar Police)। ঘটনাটি ঘটে গত ২৩ সেপ্টেম্বর, সল্টলেকের ৮ নম্বর ফুটব্রিজে। পুলিশ সূত্রে খবর, বছর বাইশের ওই মহিলা পেশায় সরকারি কর্মচারী। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেই সময় ফুটব্রিজে অপেক্ষা করছিলেন তাঁর প্রাক্তন স্বামী পলাশ রায় ও তাঁর এক সঙ্গী রাহুল মণ্ডল ওরফে জুয়েল। মহিলা সেখানে আসার পরই, প্রাক্তন স্বামী তাঁর মুখে অ্যাসিড ছুড়ে মারে বলে অভিযোগ। জখম মহিলাকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Calcutta Medical College Hospital) ভর্তি করা হয়। তাঁর বয়ান রেকর্ড করে বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ। বেশ কিছুদিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে অ্যাসিড আক্রান্ত মহিলা বিধাননগর পূর্ব থানায় (East Bidhannagar Police Station) অভিযোগ দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: TMC: সায়নী ঘোষের গ্রেফতারির প্রতিবাদ, আজ ত্রিপুরা যাচ্ছেন অভিষেক