আবীর দত্ত, কলকাতা: নিয়তির টান। চিংড়িঘাটায় (Chingrighata) মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় (Road Accident) মৃত্যু হল এক ২৬ বছরের যুবকের মৃত্যু। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। চলতি মাসে ভাইফোঁটার দিনও এক ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল কলকাতার (Kolkata) এই এলাকা।
পুলিশ সূত্রে খবর, মোটরবাইকের পিছনে বসে কসবা থেকে রুবি হয়ে সেক্টর ফাইভ যাচ্ছিলেন সাগর পাল নামে ওই যুবক। চিংড়িঘাটার কাছে নির্মীয়মাণ মেট্রো স্টেশনের নীচে সঙ্কীর্ণ রাস্তায় দ্রুতগতিতে আসা একটি ট্রাক মোটরবাইকে ধাক্কা মারে। ধাক্কার কারণে ওই যুবক অনেকটা দূরে ছিটকে পড়েন। যদিও তাঁর মাথায় হেলমেট ছিল। কিন্তু ট্রাকের ওই সজোরে গতির ধাক্কায় মাথা থেকে হেলমেট খুলে যায়। ফুটপাথের ধারে ছিটকে পড়ে মাথায় আঘাত লাগে।
বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ তাঁকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মোটরবাইক চালক যুবকও গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনার পর থেকেই ট্রাকচালক পলাতক।
আরও পড়ুন, গরুদের জন্য বিনামূল্যে ২৪ ঘণ্টা অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দেবে উত্তরপ্রদেশ, খোলা হচ্ছে কল সেন্টার
ভাইফোঁটার দিন এমনই এক দুর্ঘটনার বলি হয় একজন। পার হওয়ার জন্য জেব্রা ক্রসিংয়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন পথচারীরা। সেই সময়ই দ্রুতগতিতে এসে এক গাড়ি সজোরে ধাক্কা মারে তাঁদের। সায়েন্স সিটি থেকে উল্টোডাঙার দিকে যাচ্ছিল গাড়িটি। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃত পথচারীর বয়স চল্লিশের আশপাশে ছিল।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গাড়ির চালক জানিয়েছেন ব্রেক ফেল করেই দুর্ঘটনা। যদিও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, গাড়ির গতি যথেষ্টই বেশি ছিল। ঠিক সময়ে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরেই সরাসরি পথচারীদের ধাক্কা মেরেছেন চালক। দুর্ঘটনার পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়িচালককে আটক করে।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ঘাতক গাড়িটি একজন চিকিৎসকের। তবে যে চিকিৎসকের নামে গাড়ি তিনি গাড়িতে ছিলেন না। সম্ভবত তাঁর গাড়ির চালক গাড়িটি নিয়ে যাচ্ছিল।