পার্থপ্রতিম বিশ্বাস, কলকাতা: মনোহরপুকুর রোডে গৃহবধূ খুনে নতুন তথ্য। স্থানীয় সূত্রে খবর, শ্বশুরের কাছে কাজ করতেন অরবিন্দ বাজাজ।
বছর দুয়েক আগে জামাইকে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেন শ্বশুর। তারপর থেকেই শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে। পুলিশ সূত্রে খবর, কাজ হারানো ও দাম্পত্য অশান্তির কথা সম্প্রতি আত্মীয়দেরও জানিয়েছিলেন অরবিন্দ।
পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত দাবি করেন দীপাবলির আগে আলমারি থেকে বাসন বের করা নিয়ে গতকাল স্ত্রীর সঙ্গে বচসা শুরু হয়। রাগের বশে ফল কাটার ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে কোপাতে শুরু করেন। মেয়ে বাধা দিলে তার গায়েও আঘাত লাগে।
গতকাল রাতে দক্ষিণ কলকাতার মনোহরপুকুরে স্ত্রীকে খুন করে ১৮ বছরের মেয়েকেও কোপানোর অভিযোগ ওঠে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। পুলিশের দাবি, ১০০ ডায়ালে ফোন করে নিজেই খুনের কথা কবুল করেন স্বামী।
মৃতার নাম প্রিয়ঙ্কা বাজাজ। মনোহরপুকুর রোডের বহুতলে মেয়ে ও স্বামী অরবিন্দ বাজাজের সঙ্গে চারতলার ফ্ল্যাটে থাকতেন ওই গৃহবধূ।
আরও পড়ুন: ‘দু’বছর ধরে কর্মহীন ছিলেন স্বামী, দাম্পত্য বিবাদে খুন' মনোহরপুকুরের খুনে অনুমান পুলিশের
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই অ্যাপার্টমেন্টের তিন তলায় বেশ কয়েক বছর ধরে ছিলেন অরবিন্দ বাজাজ। বরাবরই শান্তিপ্রিয় মানুষ বলে পরিচিত ছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল ১০০ ডায়ালে ফোন করে স্ত্রীকে খুনের কথা জানান স্বামী। রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মা-মেয়েকে বাড়ি থেকে উদ্ধার করে।
এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হলে গৃহবধূকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, গত ২ বছর ধরে কর্মহীন ছিলেন স্বামী।
কর্মহীন হয়ে পড়ার পাশাপাশি শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে তিক্ত সম্পর্ক -- এই দু’য়ের টানাপোড়েনেই স্ত্রীকে খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে খুন ও খুনের চেষ্টার ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।