ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: নিম্নচাপের জেরে টানা ২দিনের বৃষ্টিতে (Rain) জমা জলে ডেঙ্গির (Dengue)  প্রকোপ আরও বাড়ার আশঙ্কা (Kolkata)। এই অবস্থায় সবাইকে সতর্ক (Alert) থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা (Doctors)।


একে করোনায় রক্ষা নেই, ডেঙ্গি দোসর!দেশে ওমিক্রনের চোখরাঙানির মাঝেই কলকাতায় নতুন মাথাব্যথার কারণ ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত!সেই উদ্বেগ আরও কয়েকগুণ বাড়িয়েছে নিম্নচাপের জেরে টানা দুদিনের বৃষ্টি। বহু জায়গায় জমেছে জল। এরফলে ডেঙ্গির প্রকোপ বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকছে। কারণ, জমা জলেই মশার বাড়বাড়ন্ত হয়। 


চিকিৎসকরা বলছেন, তাপমাত্রা আগের চেয়ে কমলেও করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ডেঙ্গির প্রকোপ  কমেনি। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে বৃষ্টিতে মশাবাহিত রোগ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। 


চিকিৎসক  অনিরুদ্ধ ঘোষ, আগে যা ডেঙ্গি ছিল এখন কিছুটা কমেছে। কিন্তু এই যে বৃষ্টি হল,  আবার ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে।



Barasat News: 'ডান ওভারির বদলে বাঁ ওভারিতে অস্ত্রোপচার, প্রাণ বাঁচাতে বাদ গেল কিডনি!


দক্ষিণ দমদমের বাসিন্দা বছর ১৪-র রায়া সাহা। ভাইফোঁটার পরদিন থেকে ধুম জ্বর। পরীক্ষার পর জানা যায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। একাধিক হাসপাতাল ঘুরে ভর্তি করা হয় অ্যাপোলো হাসপাতালে। এরপর যমে মানুষে টানাটানি। ১৩ দিন ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখতে হয়। তার মধ্যে ৭ দিন তাকে রাখা হয় বিশেষ পদ্ধতিতে। এই পরিস্থিতিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ANEK বা Acute necrotising encephalitis of Childhood বলে। পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে এই অবস্থা এই প্রথম বলে দাবি চিকিৎসকদের।চিকিৎসকরা বলছেন, এই পরিস্থিতিতে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা প্রায় ৫০ শতাংশ।  
 
চিকিৎসক অগ্নিশেখর সাহা বলেছেন, এতে কিশোরীর মস্তিস্কে প্রভাব ফেলে। মৃত্যুর আশঙ্কা প্রায় ৫০ শতাংশ। এখন তো ডেঙ্গি বছরভর হচ্ছে। আগে পুজোর পর হত না। যেখানে যেখানে জমা জল সেখানেই ডেঙ্গি হবে। সতর্ক থাকতে হবে। জল জমলে মশা বাড়বে। জল জমতে দেওয়া যাবে না।


চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে ভর্তি থাকলেও এখন বিপন্মুক্ত রায়া। খুব তাড়াতাড়িই বাড়ি ফিরবে সে।