কলকাতা: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পড়ুয়া, ইন্টার্ন ও জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের কর্মবিরতি অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে কড়া পদক্ষেপ করল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, আন্দোলনকারীদের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে, ২ ঘণ্টার মধ্যে কাজে যোগ না দিলে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।  সব বিভাগীয় প্রধানদের ইন্টার্নদের জানিয়ে দিতে বলা হয়েছে যে কাজে না এলে তা গরহাজিরা হিসাবেই গণ্য করা হবে এবং সেই অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  


প্রসূতি বিভাগ, ট্রমা কেয়ার ও জরুরি বিভাগে ঘুরে গরহাজির জুনিয়র ডাক্তারদের তালিকা তৈরি করেছেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার ও ডেপুটি সুপার। সেই তালিকা স্বাস্থ্যভবনে পাঠানো হবে।  আজ সকাল ১১টা পর্যন্ত কারা কাজে যোগ দিয়েছেন, হাজিরা খাতায় তা খতিয়ে দেখেন হাসপাতালের আধিকারিকরা। এরপর তাতে সই করে দেন ভারপ্রাপ্ত সুপার।  হাসপাতালের অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন মেডিক্যাল পড়ুয়া, ইন্টার্ন ও জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। এর প্রভাব পড়েছে পরিষেবায়। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রোগীরা। 


১৬ দিন পরেও আরজি করে অচলাবস্থা অব্যাহত। অধ্যক্ষের ইস্তফার দাবিতে রিলে অনশন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় আন্দোলনরত মেডিক্যাল পড়ুয়া, ইন্টার্ন ও জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। অন্যদিকে, হাসপাতালের পরিষেবা সচল রাখতে গতকাল বিভিন্ন ওয়ার্ড ও আউটডোরে ঘোরেন ডেপুটি সুপার ও ভাইস প্রিন্সিপ্যাল।


আন্দোলনের জেরে অচলাবস্থা চললেও, হাসপাতাল থেকে রেফার করা যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন তাঁরা। জট কাটাতে গতকালও স্বাস্থ্য ভবনে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেন স্বাস্থ্য দফতরের তৈরি মেন্টর গ্রুপের সদস্যরা। অধ্যক্ষের পদত্যাগ, নিরপেক্ষ স্টুডেন্ট কাউন্সিল গঠন-সহ একাধিক দাবিতে গত ১৬ দিন রিলে অনশন করছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়া, ইন্টার্ন ও জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ।


আরও পড়ুন: East Medinipur : ঘরের সামনেই যেন উঠে এসেছে পুকুর ! নিম্নচাপের বৃষ্টিতে লক্ষ্মীপুজোয় দুর্ভোগের চিন্তা পটাশপুরবাসীর


আরও পড়ুন: Hooghly: গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টিতে জলযন্ত্রণা হুগলির শ্রীরামপুর শহরে