করুণাময় সিংহ, মালদা: রামনবমীর মিছিলে পাশাপাশি হাঁটলেন বিজেপি এবং তৃণমূল নেতারা (BJP and TMC Leader)। এলাকার একাধিক তৃণমূল নেতাকে এদিন রামনবমীর মিছিলে দেখা গেছে। যদিও দুই দলের নেতাদেরই দাবি এটা ধর্মীয় উৎসব। সব সনাতনরাই আসবেন।তবে সৌজন্য শেষ হতেই একে অপরের প্রতি ছুড়ে দিয়েছেন কটাক্ষের তীর। একে অপরের বিরুদ্ধে তুলেছেন রাজনীতির অভিযোগ। বিজেপির তরফে নিশানা করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকেও।
রামনবমীর মিছিলে পাশাপাশি হেঁটেও কাটল তাল
সারা রাজ্যের সঙ্গে এদিন মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায় দুপুর ৩ টা নাগাদ একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। বজরং দলের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় এই শোভাযাত্রা।এই মিছিলেই হাঁটতে দেখা গেছে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক আইএনটিটিউসির সভাপতি সাহেব দাস, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বাবলু কর্মকার, সাগর দাস, যুব সভাপতি অভিজিৎ দাস, অঞ্চল সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা সহ একাধিক স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে।পাশাপাশি বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য রুপেশ আগরওয়াল-সহ অন্যান্য গেরুয়া শিবিরের নেতারাও ছিলেন।
' মমতা রাম নাম শুনে পালিয়ে যেতেন, এখন বাধ্য হয়েছেন রামনবমীতে ছুটি দিতে'
এই মিছিলে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, তারা এখানে কোনও রাজনীতি করতে আসেননি। সনাতনী হিসেবে এসেছেন।রাম বিজেপির পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। তাদের আরও দাবি, বিজেপি রামকে নিয়ে রাজনীতি করে। আর তৃণমূল উন্নয়ন নিয়ে। এবার ভোটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের খেলা হবে।যদিও পাল্টা বিজেপির দাবি, এর আগে তৃণমূল নেতাদের দেখা যায়নি। মমতা রাম নাম শুনে পালিয়ে যেতেন। এখন বাধ্য হয়েছেন রামনবমীতে ছুটি দিতে। সামনে ভোট তাই রাজনীতি করতেই তৃণমূল নেতারা এসেছে।
আরও পড়ুন, 'শর্ত' মেনেই কি রামনবমীর মিছিল হাওড়ায় ? কড়া নজর পুলিশের, উড়ল ড্রোনও
ভোটের আবহে রামনবমী-রাজনীতি
এদিন আরও ছবিও দেখা গিয়েছে রাজ্যে। ভোটের আবহে গনগনে রামনবমী-রাজনীতি। তার মধ্যেই সৌজন্য আর সম্প্রীতির রামধনু ছটা ছড়িয়ে দিল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর। এগারোবারের বিধায়ক আব্দুলকরিম চৌধুরীকে প্রণাম করে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পাল। রোদে তেতে-পুড়ে রামনবমীর মিছিলে অংশ নেওয়া বিজেপি প্রার্থীকে জল খাওয়ালেন করিম চৌধুরী। আব্দুল করিম চৌধুরী বলেন,ভারতের কালচারে আছে, সকলকে খুশি রাখো, সকলকে শুভেচ্ছা জানাও, সকলকে আশীর্বাদ দাও। ওই অনুযায়ী আমি উনাকে জলের গ্লাসও দিলাম। জলও খেলেন উনি।