কলকাতা: বুধবার উত্তর কলকাতার আহিরীটোলার ডালপট্টির ঘটনার আতঙ্কা কাটেনি এখনও। একদিন ঘুরতে না ঘুরতেই উত্তর কলকাতায় ভেঙে পড়ল দুটি বাড়ি। একই দিনে পরপর বাড়ি দুটি ভেঙে পড়ে। পোস্তা থানা এলাকায় ১০৫ নম্বর কটন স্ট্রিটে ভেঙে পড়ে একটি বাড়ির একাংশ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই। অন্যদিকে এই একই দিনে ২৬ নম্বর জোড়াবাগান স্ট্রিটে বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে বিপত্তি ঘটে। সেই বাড়িতে কেউ না থাকায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। 


এই একই দিনে হাওড়ার দালাল পুকুরের কাছে মহেন্দ্র ভট্টাচার্য রোডের ওপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে হাওড়ার শতাব্দী প্রাচীন জান বাড়ির একাংশ। দুর্ঘটনার সময় রাস্তা দিয়ে কোনও পথচারী না যাওয়ায় বরাত জোরে রক্ষা মিলেছে। কাজেই সেখানে হতাহতের কোনও খবর নেই। জরাজীর্ণ বাড়িটি আগেই ভেঙে ফেলতে বলা হয়েছিল, কিন্তু শরিকি ঝামেলা থাকায় ভাঙা যায়নি বাড়ি। বিপজ্জনক বাড়ি বলে পুরসভার তরফে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছিল বোর্ডও। এমনটাই দাবি করেছেন কাউন্সিলর। 


গতকাল বৃষ্টির মধ্যেই উত্তর কলকাতার আহিরীটোলায় জরাজীর্ণ বাড়ি ভেঙে পরে। মৃত্যু হয় ২ বছরের নাতনি ও দিদিমার। সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ ৯ নম্বর আহিরীটোলা স্ট্রিটে দোতলা বাড়ি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। আটকে পড়েন ১৭ জন। প্রথমে দেওয়াল ভেঙে কয়েকজনকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। পুলিশ, দমকল ও NDRF-এর সহযোগিতায় অন্তঃসত্ত্বা, তাঁর স্বামী, ২ বছরের শিশুকন্যা ও শিশুর দিদিমাকে উদ্ধার করে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।


গ্যাস কাটারের সাহায্যে বেশ কিছুটা অংশ কেটে উদ্ধারকাজ চালানো হয়। পরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শিশু ও আরজি কর হাসপাতালে মৃত্যু হয় প্রৌঢ়ার। সকালে ঘটনাস্থলে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, স্থানীয় বিধায়ক শশী পাঁজা, পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। ফিরহাদ হাকিম জানান, শহরে এমন শতাধিক বিপজ্জনক বাড়ি রয়েছে। বাড়িওয়ালা-ভাড়াটের বিবাদের জেরে বাড়ি ফাঁকা না হওয়ায় ব্যবস্থা নিতে পারছে না পুরসভা। তাহলে কি মালিক-ভাড়াটিয়ার লড়াই-এর জেরে ধসে পড়াই এই বাড়িগুলোর ভবিতব্য? সুরক্ষা দেবে কে? এ নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক প্রশ্ন উঠেছে।


আরও পড়ুন: Bhabanipur By-Polls: মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভোট দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়