ইন্দোর: দূষণে জেরবার দেশ। জৈব জ্বালানির ব্যবহার কমাতে প্রথম থেকেই অপ্রচলিত শক্তির ব্যবহার নিয়ে সওয়াল করেছে কেন্দ্রের সরকার। সেই কাজেই এবার একধাপ এগোল ভারত। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে (indore) বায়ো-সিএনজি (bio cng) প্ল্যান্টের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে ওই প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেন তিনি। নাম দেওয়া হয়েছে গোবর-ধন (gobar-dhan)। এশিয়ায় সবচেয়ে বড় বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট হবে এটি। 


বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ করে বায়ো সিএনজি তৈরি করা হবে এখানে। প্রধানমন্ত্রীর অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্ল্যান্টে প্রতিদিন সাড়ে পাঁচশো টন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ করা যাবে এখানে। প্রতিদিন অন্তত সতেরো হাজার কেজি সিএনজি (cng) উৎপাদন করতে পারবে এই বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট। শুধু সিএনজিই নয়, তার সঙ্গে তৈরি করা হবে জৈব সারও। প্রধানমন্ত্রীর অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে ইন্দোরের এই প্ল্যান্ট প্রতিদিন একশো টন জৈব সার (organic compost) তৈরি করতে পারবে। 


বর্জ্য পদার্থের পুনর্নবীকরণ ভাবনা মাথায় রেখেই এই প্রকল্প। জিরো ল্যান্ডফিল মডেলের (zero landfill model) উপর নির্ভর করে তৈরি করা হয়েছে এই প্রকল্প। অর্থাৎ এই প্ল্যান্টে কোনও বর্জ্য উৎপন্ন হবে না। সবটাই পরিণত করা হবে জৈব গ্যাস বা সারে। শহর পরিচ্ছন্ন রাখতেই এমন প্রকল্পের জোর দেওয়া হচ্ছে।


ইন্দোর পুরনিগম এবং ইন্দো এনভায়রো ইন্টিগ্রেটেড সলিউশন লিমিটেডের (indo enviro integrated solutions ltd.) যৌথ উদ্যোগে পিপিপি মডেলে (ppp model) তৈরি হয়েছে এই 'গোবর-ধন' বায়োগ্যাস প্রকল্প। গোটা কাজটি করতে খরচ হচ্ছে দেড়শো কোটি টাকা। এই প্ল্যান্টে উৎপাদন হওয়া মোট সিএনজির অন্তত ৫০ শতাংশ কিনে নেবে ইন্দোর পুরনিগম। সেই সিএনজি বা বায়োগ্যাস দিয়ে চালানো হবে ইন্দোরের ৪০০টি বাস। ওই প্ল্যান্টে উৎপাদনের বাকি ৫০ শতাংশ বিক্রি হবে খোলা বাজারে। ফলে কেউ ব্যক্তিগত স্তরেও ব্যবহার করতে পারবে সেই সিএনজি। প্ল্যান্টে উৎপন্ন হওয়া জৈব সার কৃষিকাজে ব্যবহার করা হবে। চাষে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমাতেই এমন ভাবনা।   


আরও পড়ুন: টিয়াগোর সব ভ্যারিয়েন্টে সিএনজি মডেল, ভিতরে-বাইরে কেমন দেখতে গাড়ি ?