নয়াদিল্লি : মহুয়া মৈত্র বিতর্কে ফের সরব নিশিকান্ত দুবে। বিজেপি সাংসদের পোস্ট 'মহুয়া যখন ভারতে ছিলেন, তখন দুবাইয়ে বসে তাঁর সংসদের লগইন আইডি ব্যবহার হয়েছিল। টাকার জন্য দেশের সুরক্ষাকে দাবাড় বোড়ে হিসাবে ব্যবহার করেছেন সাংসদ। এরপরও কি এই নিয়ে রাজনীতি করবে তৃণমূল ও বিরোধীরা? মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে'। পাশাপাশি সব তথ্য তদন্তকারী এজেন্সিকে পাঠিয়ে দিয়েছে ন্যাশনাল ইনফর্মেটিক্স সেন্টার, পোস্ট বিজেপি সাংসদের।


এমিতেই তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে 'ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নের' অভিযোগ ঘিরে সরগরম রাজনীতি। হলফনামার পাল্টা বিবৃতি এবং সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট জারি। অন্য় শিল্প গোষ্ঠীর থেকে সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে আদানি গোষ্ঠীর ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টার অভিযোগ। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে 'ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নের' অভিযোগ ঘিরে এখন সরগরম জাতীয় রাজনীতি। পাল্টা, CBI এবং এথিক্স কমিটির তদন্তকে স্বাগত জানিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। 


হিরানন্দানি গ্রুপ দাবি করেছে, তারা আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলতে মহুয়া মৈত্রকে নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার সেই হিরানন্দানি গ্রুপের সিইও দর্শন হিরানন্দানি দাবি করেন, মহুয়া মৈত্রর ধারণা হয়েছিল, নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করার একমাত্র উপায় হচ্ছে গৌতম আদানি ও তাঁর গ্রুপকে আক্রমণ করা কারণ, দু-জনই একই রাজ্য গুজরাত থেকে এসেছেন। সাংসদ হিসাবে মহুয়া মৈত্রর যে ইমেল আইডি, সেটা তিনি আমাকে পাঠান, যাতে আমি তাঁকে আরও তথ্য দিতে পারি এবং তিনি সেগুলো সংসদে তুলতে পারেন। সেই প্রস্তাবে আমি রাজি হয়ে যাই। 






পাল্টা বিবৃতিতে মহুয়া মৈত্র দাবি করেন, চিঠির বিষয়বস্তু অত্যন্ত হাস্যকর। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের এমন কেউ এটা লিখেছেন, যিনি বিজেপির আইটি সেলের হয়েও লেখেন। এই চিঠিতে আমার বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগের সঙ্গে এমন সবাইকে জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যারা সবাই মোদি ও গৌতম আদানির বিরোধী। নিশ্চয়ই কেউ বলেছে, “সবার নাম ঢুকিয়ে দাও। এরকম সুযোগ আর আসবে না। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে দর্শন ও তার বাবার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মাত্র ২০ মিনিটে এই হলফনামায় সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন- চিন্তা বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ, নবমী-দশমীতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির আশঙ্কা