নয়াদিল্লি: ১৪ বছরের কিশোরীকে (Minor) একাধিকবার ধর্ষণ (Rape) ও সন্তানসম্ভবা (Impregnate) করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক তান্ত্রিকের (Tantrik) বিরুদ্ধে। নয়াদিল্লির বাবা হরিদাস নগরের (Baba Haridas Nagar) ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে (POCSO ACT) মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কী ঘটেছিল?
পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতা কিশোরী এখন ২ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, ভূত ঝাড়ানোর জন্য ওই তান্ত্রিকের কাছে মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর মা-ই। সেই সুযোগে কিশোরীকে একাধিক বার ধর্ষণ করেছেন অভিযুক্ত, এমনই দাবি। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের দাবি, এ ব্যাপারে নির্যাতিতার মায়ের বয়ান খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আপাতত তাঁর খোঁজ চলছে। চলতি মাসের গোড়ার দিকেই হায়দরাবাদে একটি জন্মদিনের পার্টিতে এক কিশোরীকে মাদক খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল পাঁচ তরুণের বিরুদ্ধে। স্কুলছুট ওই কিশোরী তার মায়ের সঙ্গে থাকত। কয়েক বছর আগে স্বামীকে ছেড়ে মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেছিলেন পেশায় দিনমজুর মা। ঘটনার কয়েকদিন বাদে নির্যাতিতা পুলিশে অভিযোগ জানালে শোরগোল পড়ে যায়। সেখানেও পকসো আইন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল। তবে রাজধানীর বুকে যে ভাবে একের পর এক নারী-নির্যাতনের শিউরে ওঠার মতো ঘটনা সামনে আসছে, তাতে দুশ্চিন্তায় গোটা দেশ। হালেই যেমন নিক্কি যাদবের ঘটনায় শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যার ভয়ঙ্কর স্মৃতি উসকে দিয়েছে।
নিক্কি যাদব হত্যা...
দিল্লিতে নিক্কি যাদবের খুনের মামলায় নয়া মোড় উঠে এসেছে হালেই। নিক্কি যাদব ও অভিযুক্ত সাহিল গহলৌত লিভ-ইন পার্টনার ছিল বলে মনে করছিলেন তদন্তকারীরা। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে তাঁরা আদৌও লিভ-ইন পার্টনার ছিলেন না। বছর তিনেক আগে বিয়ে করেছিলেন নিক্কি ও সাহিল। বছর তিনেক আগে একটি মন্দিরে তাঁরা বিয়ে করেন বলে পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে। কিন্তু সেই বিয়ের কথা ওই দুজন নিজেদের বাড়িতে জানাননি। সূত্রের খবর, প্রথমে ওই দুইজন তাঁদের বাড়িতে বিয়ের কথা জানাননি। পরে বিয়ের কথা জানতে পারে সাহিলের পরিবার। জানার পরেই তার চরম বিরোধিতা করে সাহিলের পরিবার। তারপরেই অন্য কারও সঙ্গে সাহিলের বিয়ে ঠিক করে তার পরিবার। তার থেকেই সাহিল ও নিক্কির মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। সেই ঝামেলার কারণেই এমন ঘটনা বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ১০ ফেব্রুয়ারি বচসার পরে নিক্কিকে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছে সাহিলের বিরুদ্ধে। তারপরে নিক্কির নিথর শরীর ঘরের ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখেছিল সাহিল, অভিযোগ এমনটাই।
আরও পড়ুন:হারিয়ে যাওয়া বল খুঁজে এনেছে আমাদের রিজার্ভ প্লেয়াররা, বাংলাকে বিদ্রুপ উনাদকটের