নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিদেশযাত্রা নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছে বিরোধীরা। শুধু তাঁর বিদেশযাত্রাই নয়, এর ফলে হওয়া সরকারি খরচ নিয়েও খোঁচা দিয়েছে বিরোধীরা।
করোনা-কালে বিদেশযাত্রা বন্ধ থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর বিদেশযাত্রা খতিয়ান পেশ করল কেন্দ্র। রাজ্যসভায় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরন লিখিত জবাবে জানিয়েছেন, ২০১৫ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ৫৮টি দেশে সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী। খরচ হয়েছে ৫১৭.৮২ কোটি টাকা।
২০১৫ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনে ৫ বার করে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও সিঙ্গাপুর, জার্মানি, ফ্রান্স, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে গিয়েছেন মোদি।
মুরলীধরন জানিয়েছেন এই সফরগুলির মধ্যে কিছু ছিল বহুপাক্ষিক সফর। অর্থাৎ একাধিক দেশ যোগ দিয়েছিল। এছাড়া, কিছু ছিল প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক সফর।
করোনা-কালের আগে প্রধানমন্ত্রীর শেষ বিদেশ সফর ছিল ব্রাজিল। ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে ২০১৯ সালের নভেম্বরে ব্রাজিলে গিয়েছিলেন মোদি। ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির মধ্যে রয়েছে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
কেন্দ্রের বিবৃতি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরগুলি দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন ইস্যুতে পারস্পরিক বোঝাপড়া বা সমঝোতা মজবুত করেছে। বাণিজ্য, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিনিয়োগের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তেমনই মানুষের সঙ্গে মানুষের আদানপ্রদানও আরও নিবিড় হয়েছে।
লিখিত বিবৃতিতে বিদেশ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের ফলে জাতীয় উন্নয়নের জন্য আর্থিক বৃদ্ধি ও দেশবাসীর শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে।’’ তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের সন্ত্রাসবাদ, জলবায়ু পরিবর্তন, সাইবার নিরাপত্তার মতো আন্তর্জাতিক বিষয়গুলিও বিশেষ ভাবে গুরুত্ব পেয়েছে।
নেপাল নিয়েও সরকারের বক্তব্য জানিয়েছেন মুরলীধরন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ভারত নির্ভরতা কাটাতে নেপাল চিনের সঙ্গে বেশ কিছু বাণিজ্য চুক্তি করছে। জবাবে মন্ত্রী জানিয়েছেন, কাঠমাণ্ডুর সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক নিজস্ব অবস্থানেই রয়েছে।