পাল্টা কেন্দ্রীয়মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি দাবি করেন, বিজেপির লোকজনই প্রকৃত মহাত্মা গাঁধীর অনুগামী। এইসব লোকজন সনিয়া গাঁধী ও রাহুল গাঁধীর মতো ‘নকলি গাঁধী’-র অনুগামী।
এর আগে এদিন গাঁধীজী সম্পর্কে হেগড়ের বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে লোকসভায় কংগ্রেস সহ আরও কয়েকটি বিরোধী দলের সদস্যরা বিক্ষোভ দেখান। বিরোধী সাংসদদের বিক্ষোভের কারণে অধিবেশন শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে দুপুর বারোটা পর্যন্ত স্থগিত হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, হেগড়ে ব্যাঙ্গালোরে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন যে, স্বাধীনতা সংগ্রাম ‘ইংরেজদের সম্মতি ও সমর্থনে’ পরিচালিত হয়েছিল। তিনি আরও দাবি করেছিলেন, মহাত্মা গাঁধীর নেতৃত্বাধীন স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল ‘নাটক’।
এদিন লোকসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার পরই কংগ্রেস, ডিএমকে ও এনসিপি সদস্যরা আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে হেগড়ের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন এবং ‘মহাত্মা গাঁধী অমর রহে স্লোগান’ দিতে থাকেন। হৈহট্টগোলের মধ্যে অধ্যক্ষ বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উত্তর দিতে চান এবং আপনারা আলোচনা করুন। লোকসভায় মঙ্গলবার নাগরিক পঞ্জি সংক্রান্ত প্রশ্ন তালিকাভূক্ত ছিল। সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও। কিন্তু হৈহট্টগোল না থামায় অধিবেশন দুপুর ১২ টা পর্যন্ত স্থগিত করে দিতে হয়।