চণ্ডীগড়: আইএএস অফিসারের মেয়ে বর্ণিকা কুণ্ডুর পিছু ধাওয়ার ঘটনায় দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লঘু ধারা দায়ের করে ছেড়ে দেওয়ায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে চণ্ডীগড় পুলিশ। অভিযুক্ত হরিয়ানার বিজেপি সভাপতি সুভাষ বারালার ছেলে বিকাশ বারালা ও তার সঙ্গীকে পুলিশ আড়াল করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সমালোচনার মুখে পড়ে সাফাই দিয়েছে চণ্ডীগড় পুলিশ। তাদের দাবি, যেভাবে ঘটনাকে সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে তা 'মিডিয়া ট্রায়াল'।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে এসএসপি আয়েশ সিংঘল বলেন, অপরাধের ওই ঘটনাটি তদন্তের স্বার্থে পুনর্নির্মাণ করে দেখা হয়েছে। অভিযোগকারিনীকে সব ধরনের সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। এরপরই তিনি বলেছেন, এই ঘটনার মিডিয়া ট্রায়াল করার চেষ্টা করবেন না।
সিংঘল বলেছেন, পুলিশ খোলামনে ঘটনার তদন্ত করছে। এ ব্যাপারে তাঁদের ওপর কোনও রাজনৈতিক চাপই নেই। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অন্য কোনও ধারা যোগ করার প্রয়োজন হলে তা করা হবে।
মূল অভিযুক্ত বিকাশকে পুলিশ আড়াল করার চেষ্টা করছে কিনা, এই প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন এসএসপি।
এই মামলায় পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে আচমকাই বৈঠক শেষ করে দেন এসএসপি।
এদিকে, বর্ণিকার বাবা তথা আইএএস অফিসার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ লঘু করা হলে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন। তিনি বলেছেন, তদন্ত প্রক্রিয়ায় কোনওরকম হস্তক্ষেপ করতে চায় না তাঁর পরিবার। সেইসঙ্গে তাঁরা চান, অভিযুক্তরাও কোনওরকম প্রভাব খাটানোর সুযোগ যেন না পায়।
আইএএস অফিসার বলেছেন, তদন্তের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সাহায্য পুলিশকে তাঁরা করবেন। কিন্তু অভিযোগ লঘু করার চেষ্টা হলে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হবেন।
ফেসবুক পোস্টে আইএএস অফিসার বলেছেন, কোনও ধরনের পরিস্থিতি বা চাপের মুখে তাঁরা তাঁদের অবস্থান থেকে পিছু হঠবেন না। তিনি আরও বলেছেন, অভিযুক্তরা আইনের ছাত্র। তারা তাদের কাজের ফল সম্পর্কে ভালোরকমই জানত।তাই তাদের যথোপযুক্ত সাজা হওয়া উচিত। তিনি বলেছেন, দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করাই তাঁদের লক্ষ্য।
বর্ণিকার বাবা অবশ্য বলেছেন, তাঁরা অভিযুক্তদের পরিবারকে কোনওভাবেই দোষ দিতে চান না।
আইএএস অফিসার আরও বলেছেন, এই ঘটনা পুরোপুরি স্পষ্ট। এতে কোনওরকম ধোঁয়াশা নেই। তিনি বলেছেন, ‘এরপরও যদি এর সুবিচার না হয় তাহলে বলতে হবে আমাদের দেশ, আমাদের সরকার ও আমাদের দেশের গভীরে পচন ধরেছে’।