এ ধরনের উদ্যোগ সফল হলে ভারতের দ্বিতীয় অঙ্গরাজ্য হিসেবে সরকার স্বীকৃত পৃথক পতাকা চালু হবে কর্নাটকে।
জম্মু ও কাশ্মীরের পৃথক পতাকা রয়েছে। উল্লেখ্য, সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারায় বিশেষ মর্যাদা রয়েছে এই রাজ্যের।
কর্নাটক রাজ্যের জন্য পৃথক পতাকার রূপরেখা তৈরি করতে যে কমিটি গঠন করেছে তার নেতৃত্বে রয়েছেন রাজ্যের কন্নড় ও সংস্কৃতি দফতরের মুখ্য সচিব। বিশিষ্ট কন্নড় লেখক তথা সাংবাদিক পাটিল পুট্টাপ্পা এবং সমাজসেবী গুণ্ডাপ্পা গাডাডার প্রস্তাব অনুযায়ী এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পট্টাপ্পা ও গাডাডা তাঁদের প্রস্তাবে সরকারের কাছে কন্নড় নাড়ুর জন্য পৃথক পতাকার রূপরেখা তৈরি এবং সেটিকে আইনি বৈধতা দানের আর্জি জানান।
কমিটিতে রয়েছেন কর্মীবর্গ ও প্রশাসনিক পরিষেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র,আইন ও পরিষদীয় বিষয়ক দফতরের সচিবরা। এছাড়াও কন্নড় সাহিত্য পরিষদের সভাপতি, কন্নড় ডেভেলাপমেন্ট অথরিটি-র চেয়ারম্যান এবং হাম্পির কন্নড় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রয়েছেন কমিটিতে।
এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জনৈক মুখপাত্র জানিয়েছেন, দেশের সংবিধানে কোনও রাজ্যের জন্য পৃথক পতাকার কোনও সংস্থান নেই। তেরঙ্গা পতাকাই গোটা ভারতের একমাত্র পতাকা। তিনি বলেন, আমরা একটি দেশ, একটাই পতাকা। আইনগত দিক থেকে কোনও রাজ্যের জন্য আলাদা পতাকা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া বা তাতে আপত্তি করার ব্যাপার নেই।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অফিসাররা জানিয়েছেন, কর্নাটকের এমনিতেই একটি পতাকা আছে, যা শুধু তার জনসাধারণের প্রতিনিধিত্ব করে, সরকারের নয়। সেই পতাকা সাধারণতন্ত্র দিবস বা স্বাধীনতা দিবসের মতো জাতীয় উত্সবে ব্যবহার হয় না, শুধু রাজ্যের প্রতিষ্ঠা দিবসের মতো অনুষ্ঠানে দেখা যায়। যদিও তার ব্যবহারকেও একদল লোক চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন, তবে এ ব্যাপারে আদালতের রায় এখনও বেরয়নি।