অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে সংস্কৃতও পড়ানো হয় গোরখপুরের মাদ্রাসায়

গোরখপুর: ভাষা মানে মনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম। তাই যে কোনও ভাষারই কদর করেন সমঝদার মানুষ। ভাষা কোনও নির্দিষ্ট গণ্ডিতে বাঁধা থাকে না। উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরের একটি মাদ্রাসায় হিন্দি, ইংরেজি ও আরবির সঙ্গে সমান যত্নের সঙ্গে পড়ুয়াদের পড়ানো হয় সংস্কৃতও। এভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির গড়েছে গোরখপুরের দারুল উলুম হুসেইনিয়া মাদ্রাসা। সেখানকার পড়ুয়ারা বলছেন, সংস্কৃত নিয়ে পড়াশোনাটা তাদের খুবই ভালো লাগে। শিক্ষকরা অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে তাঁদের এই ভাষা পড়ান। এক ছাত্র বলেছে, সংস্কৃতি শিখতে পেরে খুব ভালো লাগে। আমাদের শিক্ষকরা খুব যত্নের সঙ্গে পড়ান। আমাদের বাবা-মারাও সাহায্য করেন। মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হাফিজ নাজরে আলম বলেছেন, উত্তরপ্রদেশ শিক্ষা পর্ষদের অধীনের আধুনিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এখানে আরবির মতো অন্যান্য ভাষাও সযত্নে শেখানো হয়। এখানে ইংরেজি, হিন্দি, অঙ্ক, উর্দু ও আরবি পড়ানো হয়। এখন পঞ্চম শ্রেণীর ওপরে সমস্ত শ্রেণীতে সংস্কৃত পড়ানো হয়। পড়ুয়াদের অভিভাবকরাও এতে খুশি। তাঁরা এ নিয়ে কোনও আপত্তি করেননি। উত্তরপ্রদেশে সাম্প্রতিক অতীতে মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকীকরণ হয়েছে। পড়ুয়াদের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত। গত বছরের অক্টোবরে উপমুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মা বলেছিলেন, রাজ্য মাদ্রাসা বোর্ডের প্রস্তাব অনুযায়ী উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসাগুলিতে এনসিইআরটি-র বই চালু করা হয়েছে।