নয়াদিল্লি: ২০১২ সালের ডিসেম্বরে দিল্লি গণধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের মধ্যে একজন হলেন পবন কুমার গুপ্তা। পবন অপরাধীদের মধ্যে ছোট এবং অপরাধ সংগঠিত হওয়ার সময় ও নাবালক ছিল। আদালত এই ঘটনায় অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছে। সেই রায় পুনর্বিবেচনার আশায় দিল্লি হাইকোর্টের কাছে আবেদন করেছে পবন। অপরাধ সংগঠিত হওয়ার সময় ‘নাবালক ছিলাম’, এই হলফনামা দিয়ে শাস্তি মুকুবের আশা করেছিল পবন কুমার। তবে আদালত দোষী পবনের আর্জি পত্রপাঠ খারিজ করে দেয়। এমনকি আদালতের সময় নষ্ট করার জন্য পবনের আইনজীবী এপি সিংহ-র ২৫ হাজার টাকা জরিমানাও করে।


আরও পড়ুন- ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ায় বাড়ি গিয়ে কিশোরীকে গুলি! আটক ৬


বিচারপতি সুরেশ কাইত বলেন, এই পর্যায়ে এসে দোষীর বয়স নিয়ে পর্যালোচনা করা যায় না। একই সঙ্গে আদালতের গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করার জন্য আইনজীবী এপি সিংহ-কে ভর্ৎসনাও করেন বিচারপতি। আর্থিক জরিমানার সঙ্গে দিল্লির বার কাউন্সিলকে পবনের আইনজীবীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত, আদালতের কাছে এই মামলা সংক্রান্ত আরও কিছু নথি পেশ করার জন্য সময় চেয়ে নেন এপি সিংহ। আদালত তা মঞ্জুর করে আগামী বছর  ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছে।


আরও পড়ুন- নির্ভয়াকাণ্ড: পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টের, মৃত্যুদণ্ড বহাল, রাষ্ট্রপতির কাছে যেতে পারে অক্ষয়