সন্ত্রাস-লড়াইয়ে পূর্ণ সমর্থন, ভারতকে বার্তা ইজরায়েলি প্রেসিডেন্টের

নয়াদিল্লি: নাশকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পূর্ণ সমর্থন করে ইজরায়েল জানিয়ে দিল, ভারতের সঙ্গে তাদের বন্ধুত্বে কোনও ‘লুকোচুরি নেই, গোটাটাই খুল্লমখুল্লা’।
সোমবারই আটদিনের ভারত সফরে এসেছেন ইজরায়েলি প্রেসিডেন্ট রয়ভেন রিভলিন। গত দু দশকে এই প্রথম কোনও ইজরায়েলি প্রেসিডেন্ট ভারত সফরে এলেন।
সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মতামত প্রকাশ করেন রিভলিন। সেখানে যেমন বিভিন্ন ঐকমত্যের বিষয় উঠে আসে, তেমনই তিনি তুলে ধরেন পার্থক্যের দিকগুলিও।
এই মুহূর্তে পাক-মদতপুষ্ট নাশকতা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলকে এক মঞ্চে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গোটা বিশ্বকে পাশে আনতে অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ভারতের এই লড়াইকে পূর্ণ সমর্থন করল ইজরায়েল। এদিন রিভলিন জানান, গণতন্ত্রের রক্ষায় ভারতের পাশে থাকতে পেরে গর্বিত ইজরায়েল। তিনি যোগ করেন, সন্ত্রাস হল সন্ত্রাস। যেই তা করুক, এর শিকার যে হোক না কেন। আমাদের কর্তব্য হল, যে কোনও ধরনের সন্ত্রাসকে ধিক্কার জানানো। এই শয়তানির বিরুদ্ধে লড়াই করা।
প্রসঙ্গত, ইজরায়েল হল ভারতের জন্য অন্যতম প্রতিরক্ষা রফতানিকারী রাষ্ট্র। ভারতের সমরাস্ত্রের একটা বড় অংশই আসে এই দেশ থেকে। পাশাপাশি, সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে লড়াইয়ে ভারতকে বিপুল সাহায্য করে থাকে ইজরায়েল।
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, আরব দুনিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্কের জন্য ইজরায়েল প্রসঙ্গে ভারতের প্রকাশ্যে সংযত থাকা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলছে? উত্তরে রিভলিন জানান, উভয় দেশই একে অপরের জন্য গর্বিত। তিনি মনে করেন, ভারত-ইজরায়েল সম্পর্ক স্রেফ প্রশাসনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটা দুদেশের মানুষের মধ্যে বইছে।
আবার স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্যালেস্তাইনকে ভারত সমর্থন করা নিয়ে রিভলিনের মন্তব্য, অনেক ক্ষেত্রে বন্ধুরা সব বিষয়ে ঐকমত্য না-ও দেখাতে পারে। উভয়েরই উচিত একে অপরের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া।
বস্তুত, আগামীকালই মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন রিভলিন। বহু দ্বিপাক্ষিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা হবে। আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে প্রতিরক্ষা থেকে শুরু করে বাণিজ্য, পরিকাঠামো, পরমাণু সবকিছুই থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশেষ করে, দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দীর্ঘদিন লাল ফিতের গেরোয় আটকে রয়েছে। তার সমাধানসূত্র খুঁজে বের করতে উদ্যোগী হবেন রিভলিন। অন্যদিকে, আলোচনায় উঠে আসবে বিভিন্ন আঞ্চলিক বিষয়ও।
এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, আগামী বছর ভারত ও ইজরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ২৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে। বিষয়টিকে মাথায় রেখে বড় করে উদযাপন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে দুই দেশ।






















