নয়াদিল্লি: ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা, National Elegibility cum Entrance Test Undergraduate-এ (NEET) অনিয়মের অভিযোগ। প্রশ্নপত্র ফাঁস থেকে নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসছে। সেই নিয়ে বিশেষ কমিটি গঠন হল কেন্দ্রে। রাত পোহালেই কেন্দ্রে তৃতীয় নরেন্দ্র মোদি সরকার গঠন হতে চলেছে, তার আগে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হল, আবারও NEET নেওয়া হবে কি না, সেই নিয়ে সিদ্ধান্তগ্রহণের জন্য বিশেষ কমিটি গড়া হয়েছে। (NEET UG 2024 Controversy)
NEET নিয়ে যে ভূরি ভূরি অভিযোগ সামনে আসছে, শনিবার সেই নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। সেখানে উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব কে সঞ্জয় মূর্তি জানান, স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই NEET নেওয়া হয়েছিল। কোথাও কোনও আপস করা হয়নি। কিন্তু নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার যে দাবি উঠছে, সেই দাবি কি মানবে National TEsting Agency, উঠছে প্রশ্ন। (NEET Controversy)
সেই নিয়ে জবাব চাওয়া হলে মূর্তি জানান, অনিয়নের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বিশেষ কমিটি গড়া হয়েছে। প্রায় ২৩ লক্ষ পড়ুয়া পরীক্ষায় বসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে থেকে ১৬০০-র মতো পরীক্ষার্থীই অভিযোগ আনছেন। গ্রিভান্স রিড্রেসাল কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তাদের রিপোর্টের নিরিখেই ঠিক হবে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া হবে কি না।
আরও পড়ুন: Rahul Gandhi: লোকসভায় বিরোধী দলনেতা হওয়ার প্রস্তাব রাহুলকে, রাজি হবেন কি?
মূর্তিরপ দাবি, এবছর মাত্র একটি প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক, যা NEET-এর ইতিহাসে সর্বনিম্ন। নম্বর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন যাঁরা, পুনর্বিবেচনার পরও তাঁদের নম্বর তেমন বাড়েনি। অর্থাৎ সামগ্রিক রেজাল্টের উপর প্রভাব পড়েনি তেমন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কমিটির রিপোর্টের পরই, এই মুহূর্তে যেদিকে তাকিয়ে সকলেই।
২০২৪ সালের ডাক্তারি প্রবেশি পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। প্রশ্নপত্র ফাঁস থেকে আরও একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। পরীক্ষায় মোট ৬৭ জন প্রথম স্থান অধিকার করেছেন, যাঁদের মধ্যে ছয় জন হরিয়ানার একই পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে পরীক্ষা দেন। পরবর্তী স্থানাধিকারীদের প্রাপ্ত নম্বরে অসামঞ্জস্য রয়েছে বলে অভিযোগ। গ্রেস মার্কস নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। টাকা-পয়সা সংক্রান্ত লেনদেন, দুর্নীতির দিকেও আঙুল তুলছেন কেউ কেউ। গত ৫ মে NEET হয়, লোকসভা নির্বাচনের ফলঘোষণার দিনই, গত ৪ জুন হয় ফলঘোষণা। সেই ফলাফল সামনে আসার পর থেকেই বিতর্ক।
NEET-এর ফলাফলে যে ৬৭ জনকে শীর্ষস্থান দেওয়া হয়েছে. তাঁরা সকলেই ৯৯.৯৯৭১২৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৭২০ জনের প্রাপ্ত গড় নম্বর ৩২৩.৫৫। NEET-এ +৪ এবং -১ পদ্ধতিতে নম্বর দেওয়া হয়। সেই নিরিখে যাঁরা ৭১৮, ৭১৯ পেয়েছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে হিসেব মেলানো যাচ্ছে না। যে গ্রেস মার্কস দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তার পদ্ধতি কেন খোলসা করা হচ্ছে না, প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। তাই পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি উঠছে। পরীক্ষার্থী, শিক্ষাবিদরা যেমন এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তেমনই কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা গোটা বিষয়টিতে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
uestions are being raised about students getting 718 and 719 marks in the exam, as the marking scheme follows the +4 -1 system..
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI