নয়া দিল্লি: দেশকে স্বস্তি দিয়ে অবশেষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organisation) অনুমোদন পেয়েছে ভারত বায়োটেকের (Bharat Biotech) প্রস্তুত করা কোভ্যাকসিন। কিন্তু কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি সংস্থাকে। এর নেপথ্যে কোভ্যাকসিনকে নিয়ে নেতিবাচক প্রচারকেই দায়ী করেছেন সংস্থার চেয়ারম্যান ডক্টর কৃষ্ণা এল্লা। তিনি সাফ জানিয়েছেন, এমন প্রচার না হলে হয়ত কোভ্যাকসিনকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরিকালীন ব্যবহারের জন্য অনুমতি আরও আগেই দিত।
Covaxin-এর WHO অনুমোদনের সম্মুখীন হওয়া প্রতিবন্ধকতাগুলি সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমাদের ৫টি ভ্যাকসিন রয়েছে। WHO-এর যোগ্যতা অর্জনও করত। তাই আমরা এটি খুব ভালভাবে জানতাম, আমরা জানি কিভাবে এটি করতে হয়। কিন্তু সমস্যা হল অনেক মিডিয়া লোক যারা নেতিবাচক, তারা এমনকি ভোপালে কিছু মৃত্যুর দিকে নজর ঘোরানোর জন্য বৈজ্ঞানিক জার্নালে লিখেছে আমাদের টিকার নামে। সেই ঘটনা আত্মহত্যার কারণে ঘটেছে তবে এর জন্য ভ্যাকসিনকে দায়ী করা হয়েছে”।
আরও পড়ুন, শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ এ মাসেই, দেখে নিন দিনক্ষণ
তিনি আরও বলেন, “বিরোধী জিনিসগুলি যেভাবে ঘটছে, সেটা আমাদের আরও বেশি আঘাত করেছে। আমি চাই জনগণ সমালোচনা না করে আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করুন, আমরা সত্যিটা তাঁদের জানাব। কিন্তু নিজের মতামত তৈরি করা যা আমাদের খুব খারাপভাবে আঘাত করেছে। তিনি আরও বলেন, কীভাবে নেতিবাচকতা বিভিন্ন প্রক্রিয়া কোভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিতে দেরি করেছে।
কিন্তু এই নেতিবাচক প্রচারের পিছনে কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, ভারত বায়োটেকের প্রতিষ্ঠাতা জানিয়েছিলেন: “প্রধানমন্ত্রী যখন ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন, তখনই তারা বলেছিলেন যে এটি বিজেপির ভ্যাকসিন, এটি একটি মোদি ভ্যাকসিন। আমি বলতে চাই আমরা বিজ্ঞানী, আমরা রাজনীতি বুঝি না।"
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ অপেক্ষার পর, হু ৩ নভেম্বর করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ভারতের দেশীয় ভ্যাকসিন কোভ্যাকসিনকে জরুরি ব্যবহারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।