নয়াদিল্লি: ফের অশান্ত নেপাল, আজ সকালে জেলভাঙার চেষ্টা। রামেছাপ জেলা সংশোধনাগার ভেঙে বেরনোর চেষ্টা ৩০০ কয়েদির। ভিতরে একাধিক ভবনের তালা ভেঙে ফেলে কয়েদিরা।
আরও পড়ুন, আলিপুর চিড়িয়াখানার পরপর দু’দিনে দুই বাঘিনীর মৃত্যু ! মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা, আজই হবে ময়নাতদন্ত
জেলের প্রধান ফটক ভেঙে বেরনোর চেষ্টা কয়েদিদের। প্রধান ফটক ভাঙার আগে কয়েদিদের ঠেকাতে গুলি চালাল পুলিশ। পুলিশের গুলিতে জখম ১২ থেকে ১৩ জন কয়েদি। দেশজুড়ে ২৫টি জেল থেকে ১৫ হাজারেরও বেশি কয়েদি পলাতক, খবর সূত্রের।সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভের পাহাড়। টানা গণবিদ্রোহের আগুনে পুড়ছে গৌতম বুদ্ধের দেশ। সমাজমাধ্যমের উপর নেপাল সরকারের নিষেধাজ্ঞার পরই ক্ষোভের আগুনে ঘি পড়ে। মঙ্গলবার গোটা দেশেই দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে রোষানল। একের পর এক মন্ত্রীকে তাড়া করে মার, বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। ঝলসে মৃত্যু হয় নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঝালানাথ খানালের স্ত্রী রাজ্যলক্ষী চিত্রকরের।
কৈলালী জেলার ধানগড়িতে কমিউনিস্ট পার্টির অফিসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পোখরা, কাঠমাণ্ডু, লুম্বিনি, ধানগড়ি... বহু জায়গায় রাস্তার ধারে শোরুমে আগুন জ্বালিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা।রাতে ভাঙাচোরা শপিং মলে চলে দেদার লুঠপাট। জামা-কাপড় থেকে শুরু করে বাস্কেট, হাতের সামনে যে যা পেয়েছেন তুলে নিয়ে গেছেন। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে কাঠমান্ডুর অভিজাত হিলটন হোটেল। বুধবার সকালেও আগুনের ফুলকি...কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায় ভাঙাচোরা হোটেল থেকে। আপাতত নেপালজুড়ে জারি হয়েছে কার্ফ্যু।
প্রবল চাপের মুখে পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী KP শর্মা ওলি।দেশের নিয়ন্ত্রণ এখন সেনাবাহিনীর হাতে।উত্তাল পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, এই মুহূর্তে ভারতীয় নাগরিকদের নেপাল যাওয়া স্থগিত রাখার পরামর্শ দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। নেপালের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ১০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে, তাই নেপাল অশান্ত হওয়ায় উদ্বেগ এপারেও!বারবার শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। ওপারের আঁচ যাতে এপারে না পড়ে তার জন্য় পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যায় ছিলেন তিনি।তৃণমূল কংগ্রেসের X হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, প্রতিবেশী দেশ নেপালের উদ্ভূত পরিস্থিতি গভীর উদ্বেগের।রাজ্যের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে, মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার রাতভর উত্তরকন্যায় ছিলেন। পরিস্থিতির ওপর তিনি নজর রেখেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন,' যেই শুনেছি নেপালে সমস্যা, চলে এসেছি, সারারাত উত্তরকন্যায় বসে পাহারা দিয়েছি। পর্যটক যাঁরা গেছেন, আমি জানি অনেক ভ্রমণযাত্রী বেড়াতে গেছেন, তাঁদের আমি এইটুকু বলব, আমরাও রাজ্য সরকার থেকে (বিষয়টার উপর) নজর রাখছি, তাঁরা একটা দিন, দুটো দিন অপেক্ষা করুন, আস্তে আস্তে আপনাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসব, চিন্তা করবেন না, তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে কোনও বিপদের মধ্যে পড়বেন না, একটু শান্তি ফেরাতে দিন, ওরা শান্তি ফেরাক, আমরা প্রতিবেশী রাষ্ট্র খুশি হব।'যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাতজাগা নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা।