নয়াদিল্লি: আমেরিকার মতো শক্তিধর রাষ্ট্রকে হুমকি দেওয়া হোক বা যখন তখন ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ, প্রায়শই খবরের শিরোনামে উঠে আসে উত্তর কোরিয়া। দেশের শাসক কিম জং উনের কায়দা-কানুন নিয়েও নানা কথাও শোনা যায়, যা কখনও কখনও কিছুটা উদ্ভট প্রকৃতিরও হয়। সেই আবহেই এবার দেশে নয়া নিয়ম চালু করলেন কিম। দেশে লাল লিপস্টিক পরা নিষিদ্ধ করলেন তিনি। (North Korea News)
উত্তর কোরিয়ায় একনায়কতন্ত্র কায়েম থাকা নিয়ে গোটা দেশ সরব হলেও, আন্তর্জাতিক মহলে নিজেদের সমাজতান্ত্রিক দেশ হিসেবেই তুলে ধরে তারা। যে কমিউনিজমের অনুগামী বলে দাবি করে নিজেদের, তার দরুণ লাল রঙের সঙ্গেও সংযোগ রয়েছে তাদের। কিন্তু লাল রঙের লিপস্টিকই নিষিদ্ধ হল সেই দেশে। তাদের দাবি, লাল লিপস্টিক আসলে পুঁজিবাদের প্রতীক। কমিউনিস্ট আদর্শের সঙ্গে তা ঠিক খাপ খায় না। (Red Lipstick Ban)
শুধুমাত্র পুঁজিবাদের প্রতীক হিসেবেই দাগিয়ে দেওয়া হয়নি লাল লিপস্টিককে। বরং সরকারের যুক্তি, ঠোঁটে লাল লিপস্টিক লাগালে, মহিলাদের একটু বেশিই আকর্ষণীয় দেখায়। সরকারের মতে, সাদামাটা সাজগোজ এবং লজ্জাই মেয়েদের অলঙ্কার। তাই হালকা মেকআপ চলতে পারে। তার অন্যথা হওয়া উচিত নয়। ব্যতিক্রম চোখে পড়বে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পোশাপ-পরিচ্ছদ, সাজগোজ নিয়ে এমনিতেই কড়া বিধিনিষেধ রয়েছে উত্তর কোরিয়ায়। জনপ্রিয় পোশাক ব্র্যান্ড নিষিদ্ধ সেই দেশে, নিষিদ্ধ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন প্রসাধনীও। বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করলে মোটা টাকা জরিমানাও করা হয় নাগরিকদের। চড়া মেকআপ-ও ভাল চোখে দেখা হয় না উত্তর কোরিয়ায়। পশ্চিম সংস্কৃতির কুপ্রভাব হিসেবে ধরা হয় চড়া সাজগোজকে।
এর আগেও, নাগরিকদের সাজগোজ, পোশাক-পরিচ্ছদ নিয়ে একাধিক নিদান দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। লম্বা ঝুলের কালো কোট পরার অনুমতি নেই দেশের নাগরিকদের। নিজের চুল যেভাবে ব্য়াকব্রাশ করে রাখেন কিম, তা অনুসরণের অধিকার নেই আর কারও। কেউ তাঁকে অনুকরণ করুন, তা নাকি বিলকুল না পসন্দ কিমের। নীল জিন্সও নিষিদ্ধ। সকলে বিধিনিষেধ মেনে চলছে কি না দেখার জন্য সেদেশে ফ্যাশন পুলিশও রয়েছে, যারা রাস্তাঘাটে নাগরিকদের চালচলন, সাজগোজের উপর নজর রাখে। কোথাও কোনও লঙ্ঘন চোখে পড়লে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হয়, দিতে হয় মোটা টাকা জরিমানাও।