বালেশ্বর : পরিচয়হীন মৃতদেহের স্তূপ জমছে অস্থায়ী মর্গে। ১৬০ জনের দেহ শনাক্ত করা যায়নি। প্রিয়জনকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন বহু মানুষ। আবার আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বহু যাত্রী। এই পরিস্থিতিতে কাছের মানুষগুলোর খোঁজ পেতে ভিড় জমছে আত্মীয়-পরিজনদের। কী অবস্থায় আছেন তাঁরা, সেই খবরটুকু জানার জন্য কার্যত হন্যে হয়ে ঘোরাঘুরি করছেন অনেকেই। ভীত-সন্ত্রস্ত আত্মীয়-পরিজনদের সুবিধার্থে তাই আহতদের কোথায় চিকিৎসা চলছে তা জানানো হয়েছে কয়েকটি ওয়েবসাইটে।
নীচের ওয়েবসাইটে জানা যাবে কে কোন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন-
- https://srcodisha.nic.in/
- https://www.bmc.gov.in
- https://www.osdma.org
এর পাশাপাশি উপরের ওয়েবসাইটগুলিতে মৃতদের নাম ও ছবিও আপলোড করা হয়েছে। যাতে তাঁদের শনাক্ত করা যায়। এক্ষেত্রে বিশেষ দ্রষ্টব্য হিসাবে বলা হয়েছে-
বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতদের ছবি শুধুমাত্র শনাক্তকরণের জন্য দেওয়া হচ্ছে।
দুর্ঘটনার প্রকৃতি অনুযায়ী, যেসব ছবি দেওয়া হচ্ছে তা অস্বস্তি বাড়াতে পারে।
শিশুরা যাতে এই ছবি না দেখে, তার উপদেশ দেওয়া হচ্ছে।
যাঁরা দেখছেন, তাঁদের জন্য বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ থাকছে।
ওড়িশার স্পেশাল রিলিফ কমিশনারের লিখিত অনুমতি ছাড়া- মিডিয়া, কোনও ব্যক্তি বা কোনও সংস্থা এই ছবি ব্যবহার করতে পারবেন না।
আরও জানানো হয়েছে, ভুবনেশ্বর পুর কমিশনারের অফিস থেকে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। যেখান থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী, যাঁরা আসছেন তাঁদের গাড়িতে করে হাসপাতালে বা মর্গে পাঠানো হবে। আধিকারিকদের একাজে সহায়তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে। BMC-র হেল্প লাইন নম্বর ১৯২৯।
প্রসঙ্গত, বালেশ্বর ৩টি ট্রেনের দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতর সংখ্যা হাজারের বেশি। পরিচয়হীন মৃতদেহের স্তূপ জমছে অস্থায়ী মর্গে। প্রিয়জনকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন বহু মানুষ। ১৬০ জনের দেহ শনাক্ত করা যায়নি। ভুবনেশ্বর এইমসে ১০০ জনের দেহ রাখা হয়েছে। পরিজনেদের কথা ভেবে মৃতদেহের ছবি তুলে ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনাও সংগ্রহ করে রাখা হচ্ছে। দুর্ঘটনাস্থলে এখনও রয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি কামরা। সেগুলির মধ্যে আরও দেহ আটকে থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না উদ্ধারকারীরা। যদিও উদ্ধারকারী দলের দাবি, অধিকাংশ দেহ এবং যাত্রীদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত কামরাগুলি থেকে ৪৪ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে এনডিআরএফ।
আরও পড়ুন ; বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনায় তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের