নয়াদিল্লি: লোকসভা ভোটে (Loksabha Poll 2024) হার নিয়ে দুশ্চিন্তায় প্রধানমন্ত্রী। তাই বিদেশে থাকার পরিকল্পনা করছেন তিনি। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন লালু প্রসাদ যাদব। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রধান বলেন, পরাজয়ের পর বিদেশেই থাকবেন নরেন্দ্র মোদি। 


লোকসভা ভোট ঘিরে তৎপরতা তুঙ্গে শাসক-বিরোধী দুই শিবিরেই। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়বে না সেকথা বলাইবাহুল্য। একজোট হয়েছেন বিরোধীরা। সেই বিরোধী জোটেরই শরিক লালু প্রসাদ যাদব। এবার তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রীর দিকে। তিনি বলেন, আসলে নরেন্দ্র মোদি পদত্যাগের পরিকল্পনা করছেন। তাই নানা দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এমন একটা জায়গা খুঁজছেন, যেখানে তিনি বসে পিৎজা, মোমো, চাউমিন খেতে পারবেন।


বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা তেজস্বী যাদব আয়োজিত দলীয় একটি অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন বর্ষীয়ান রাজনীতি। হাস্যরস বোধ জন্য বরাবরই রাজনৈতিক মহলে বিশেষ সমাদার রয়েছে লালু প্রসাদের। বয়স পৌঁছে গিয়েছে ৮০-র দোরগোড়ায়। রোগভোগ লেগেই রয়েছে শরীরে। সম্প্রতি কিডনি প্রতিস্থাপনও হয়েছে। তাতে রাজনীতির ময়দানে আগের মতো সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে না তাঁকে। ইতিমধ্যেই বিরোধী জোট ‘INDIA’-র দুটি বৈঠকে অংশ নিয়েছেন তিনি। আগামী মাসে মুম্বইতে রয়েছে তৃতীয় বৈঠক। আরজেডি প্রধান জানিয়েছেন সেই বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি। এপ্রসঙ্গে লালু প্রসাদ যাদব বলেন, একতা বজায় রেখে আমাদের বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। একইসঙ্গে মণিপুর ইস্যুতেও কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ।


দিনকয়েক আগে ব্যাডমিন্টন কোর্টে দেখা যায় তাঁকে। ব্যাডমিন্টন কোর্টে ট্র্যাক প্যান্ট, পোলো টিশার্ট আর স্যান্ডাল পরে র‌্যাকেট এবং শাটল হাতে দেখা গিয়েছিল লালুকে। বাঁ হাতে আলগোছে ছুড়ে দেন শাটল, ডান হাতের র‌্যাকেট এমন চালিয়েছিলেন যে মুহূর্তে নেট পার। তাতেই ছেলেমানুষের মতো কার্যত খিলখিল করে হেসে উঠেছিলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু। পরের মুহূর্তেই আবার ওপার থেকে আসা শাটল ফেরত পাঠিয়েছিলেন। ব্যাডমিন্টন কোর্টে লালুর ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন তাঁর ছেলে, বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। ব্যাকগ্রাউন্টে বাজছিল মহম্মদ রফির গাওয়া ‘ঢল গয়া দিন, হো গয়ি শাম’।লালুর ওই ভিডিও পোস্ট করে তেজস্বী লিখেছিলেন, ‘ভয়ে পেতে শেখেননি, শেখেননি মাথা নোয়াতে। লড়াই করে এসেছেন, লড়ই করে যাবেন। জেলে যাওয়ার ভয় নেই। শেষ পর্যন্ত জয়ী হবেনই’।


আরও পড়ুন: Supreme Court: '১৪ দিন ধরে পুলিশ কী করছিল?', মণিপুর-কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে কেন্দ্র