LIVE UPDATES: ফুসফুসে আটকে কাদাজল, পোলবার ২ শিশু এখনও সঙ্কটজনক

ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ Last Updated: 15 Feb 2020 12:27 PM
স্কুল যাওয়ার পথে দিল্লি রোডে প্রায়ই বদল করা হত পুলকার, অভিযোগ আহত ছাত্রের অভিভাবকের।
এক্সট্রা কর্পোরিয়াল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন। একমো নামে পরিচিত এই যন্ত্র আদতে জীবনদায়ী ব্যবস্থা চালু রাখার মাধ্যম। কার্ডিয়াক ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় রোগীকে বাঁচিয়ে রাখতে এই যন্ত্রের মাধ্যমে বাইরে থেকে পাম্পের সাহায্যে, কৃত্রিম ফুসফুসের মাধ্যমে রক্তে অক্সিজেন ও কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা ঠিক রাখার চেষ্টা করা হয়। সরকারি হাসপাতালের মধ্যে একমাত্র এসএসকেএমে-ই রয়েছে একমো যন্ত্রটি। দিনকয়েক আগে এটি হাসপাতালে আনা হয়। পোলবার দুর্ঘটনায় সঙ্কটজনক এক পড়ুয়ার শরীরে এই প্রথমবার বসানো হল যন্ত্রটি।
পোলবাকাণ্ডে পুলকারের বেপরোয়া গতিই যে দুর্ঘটনার কারণ, সে সম্পর্কে নিশ্চিত পুলিশ। গতকাল প্রথমে ডানদিকে রাস্তার ডিভাইডারে ধাক্কা মারে পুলকারটি। এরপর গাড়িটি বাঁদিকে কংক্রিটের ক্রাশ বেরিয়ারে ধাক্কা মেরে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হারায়। পুলিশ সূত্রে খবর, শেষ সময়ে পুলকার চালক ব্রেক কষার চেষ্টা করলেও, তা সফল হয়নি। কার্যত রাস্তা থেকে উড়ে গিয়ে গাড়িটি নয়ানজুলির মাঝখানে উল্টে পড়ে।
পুলকারের স্পিড লিমিটের তার খোলা ছিল বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

প্রেক্ষাপট

কলকাতা: পোলবায় পুলকার দুর্ঘটনায় আহত, এসএসকেএমে ভর্তি দুই পড়ুয়ার অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। দু’জনকেই রাখা হয়েছে ভেন্টিলেশনে। এদের মধ্যে ৬ বছরের পড়ুয়াটির পাঁজরের চারটি হাড় ভেঙেছে। ফুসফুস থেকে কাদাজল সম্পূর্ণ বার করা যায়নি। ফুসফুসে ও মস্তিষ্কের অনেক জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে।

শিশুটি যাতে কোমায় চলে না যায় এবং তার মস্তিষ্কে অক্সিজেনের জোগান চালু থাকে, তাই রাতেই বসানো হয়েছে একমো নামে একটি বিশেষ যন্ত্র। কৃত্রিমভাবে ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রের কাজ করবে এই যন্ত্রটি। ৭ বছরের অন্য শিশুটির অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলেও এখনও সঙ্কট কাটেনি। তার পাঁজরের একটি হাড় ভেঙেছে। ফুসফুস থেকে কাদাজল সম্পূর্ণ বার করা যায়নি। ফুসফুসে ও মস্তিষ্কের অনেক জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে। দুই পড়ুয়ার চিকিৎসার জন্য গঠন করা হয়েছে ৭ সদস্যের মেডিক্যাল টিম।

পুলিশ জানিয়েছে, গতি বাড়াতে পুলকারের স্পিড লিমিটারের তার খুলে নেওয়া হয়েছিল। গাড়ির বনেটে লাগানো ছিল তারহীন স্পিড লিমিটার। নিয়ম অনুযায়ী, পুলকারের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতি নির্দিষ্ট করা রয়েছে। এক্ষেত্রে স্পিড লিমিটারের তার খুলে গাড়ির গতি বাড়ানোর চেষ্টা হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গতকাল পোলবা থানায় গিয়ে গাড়িটিকে পরীক্ষা করেন মোটর ভেহিকলসের অফিসাররা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলকার চালকের বিরুদ্ধে বেপরোয়া গাড়ি চালানো, গুরুতর আঘাত ও অনিচ্ছাকৃত হত্যার চেষ্টা সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। দুর্ঘটনায় জখম চালক সুস্থ হলেই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পাশাপাশি, মোটর ভেহিকলসের পুলকার রিপোর্ট পেলে গাড়ি মালিকের বিরুদ্ধেও মামলা রুজু করা হবে।

- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -

TRENDING NOW

© Copyright@2024.ABP Network Private Limited. All rights reserved.