আশাবুল হোসেন, ঋত্বিক মণ্ডল ও দীপক ঘোষ, কলকাতা: নারদকাণ্ডে চার্জশিট-বিতর্কে বিধানসভার স্পিকারকে চিঠি দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের দাবি, চিঠিতে ইডি জানিয়েছে, রাজ্যপালের অনুমোদন নিয়ে, তারা বিধায়কদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে। বিধানসভার স্পিকার অবশ্য জানিয়েছেন, ইডি-সিবিআই অফিসাররা নির্দেশ মেনে বুধবার বিধানসভায় হাজির হবেন, এটা তাঁর প্রত্যাশা।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মলয় ঘটক থেকে মানস ভুঁইয়া। তৃণমূলের একের পর এক হেভিওয়েটকে সিবিআই কিংবা ইডি তলব অথবা জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
আর এই প্রেক্ষাপটেই, ইডি এবং সিবিআই অফিসারদের বিধানসভার স্পিকারের তলব ঘিরেও চলছে টানাপোড়েন। বুধবার দুপুর একটায় ইডি এবং সিবিআইয়ের দুই আধিকারিককে বিধানসভায় তলব করেছেন স্পিকার।
তার আগে চার্জশিট-বিতর্কে স্পিকারকে চিঠি পাঠাল ইডি। নারদকাণ্ডে তিন বিধায়কের নামে চার্জশিট দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে এফআইআর হয়েছে।
কিন্তু, বিধানসভার স্পিকার জানান, বিধায়কদের বিরুদ্ধে এই ধারায় চার্জশিট দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধানসভার স্পিকারের অনুমতি নিতে হয়। তা না করে বিধানসভার মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা হয়েছে। বিধানসভাকে এড়িয়ে, এধরনের পদক্ষেপ বিধানসভার পক্ষে অমর্যাদাকর। এই প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা রক্ষা করা আমার কর্তব্য। সেই কারণেই তিনি তাঁদের তলব করেছেন বলে জানান।
এরই পাল্টা সূত্রের দাবি, সোমবার ইডি-র তরফে বিধানসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, রাজ্যপালের অনুমোদন নিয়ে তাঁরা বিধায়কদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে। এতে বিধানসভার মর্যাদাহানি হয়নি।
এই প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার স্পিকারও ইডি-কে একটি চিঠি দিয়েছেন। তাতে তিনি বলেছেন, আমি ইডি ও সিবিআই আধিকারিকদের ডেকেছি। নির্দেশ মেনে তাঁরা বিধানসভায় হাজির হবেন, এটাই আমার প্রত্যাশা।
কেন্দ্রীয় এজেন্সির অফিসারদের তলব ঘিরে ইডি ও স্পিকারের মধ্যে এই চিঠি-চালাচালি নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে বাগযুদ্ধ। স্পিকারের নির্দেশ মেনে বুধবার দুপুরে কি সিবিআই ও ইডি আধিকারিকরা বিধানসভায় হাজির হবেন? সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন: সিবিআই ও ইডি-র শীর্ষ আধিকারিকদের বিধানসভায় তলব করতে চলেছেন অধ্যক্ষ, দাবি সূত্রের