কলকাতা: ‘নবম-দশমে ৯৫২ জন, একাদশ-দ্বাদশে ৯০৭ জনের নম্বর বদল। ০, ১, ২ পেয়েও স্কুল সার্ভিস কমিশনের সার্ভারে নম্বর ৫০, ৫২, ৫৩!' অযোগ্য প্রার্থীদের নম্বর বদল নিয়ে বিস্ফোরক দাবি সিবিআইয়ের।
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে আসছে। পরের পর বিস্ফোরক তথ্য সামনে নিয়ে আসবে সিবিআই। নম্বর কারচুপি করা হয়েছে, সুযোগ দেওয়া হয়েছে কম নম্বরকে, এমন অভিযোগ বারে বারেই পেশ করে চলেছে সিবিআই। আর এবার একেবারে নম্বরের উল্লেখ করে কারচুপির কথা সামনে আনা হল।
অন্যদিকে, চাকরিপ্রার্থীদের জন্য ফের সুখবর। প্রাথমিকের পর এবার হাইকোর্টের নির্দেশে উচ্চপ্রাথমিকে ইন্টারভিউ হতে চলেছে। পরীক্ষার ৬ বছর পরে চাকরিপ্রার্থীদের উচ্চপ্রাথমিকের ইন্টারভিউয়ের ডাক পেলেন তাঁরা। অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ইন্টারভিউ, জানাল স্কুল সার্ভিস কমিশন। উচ্চপ্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে ১৫৮৫ জনকে ইন্টারভিউয়ের ডাকা হয়েছে। ‘দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৯-এ মেধা তালিকা বাতিল করেছিল হাইকোর্ট’, ডাক না পাওয়া প্রার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ১৫৮৫জনের ইন্টারভিউ হবে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: পুজোর সময় চাকরিপ্রার্থীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভে অনুমতি হাইকোর্টের
২০১৪ সালে এই পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছিল। ২০১৫ সালে পরীক্ষা হওয়ার পর ২০১৬ সালে ফল প্রকাশিত হয়। তারপর দু’বার ইন্টারভিউ হয়। দু’বার মেধাতালিকা বেরোলেও, আইনি জটিলতায় তা বাতিল হয়ে যায়।
অন্যদিকে, চতুর্থীর দিন, প্রাথমিকে টেট এবং শিক্ষক নিয়োগের জোড়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। চাকরির জন্য, ২১ অক্টোবর থেকে অনলাইনে আবেদন করা যাবে। আবেদন করতে পারবেন ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরাও। ১১ ডিসেম্বর TET’এর বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে শূন্যপদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। তবে তিনদিন আগেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ১১ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের কথা জানায়। বৃহস্পতিবার ১১ ডিসেম্বর TET’এর বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে। ১৪ অক্টোবর থেকে অনলাইনে আবেদন করা যাবে। তৃণমূল জমানায় এখনও অবধি তিনবার টেট হয়েছে। প্রথমে ২০১২’তে টেটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ২০১৩ সালে টেট পরীক্ষা হয়ে, সেবছরই ফল বেরোয়। তারপর টেটের বিজ্ঞপ্তি বেরোয় ২০১৪ সালে। ২০১৫ সালে পরীক্ষা হয়ে, ২০১৬ সালে রেজাল্ট বেরোয়। এরপর ২০১৭ সালে টেটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ২০২১ সালে পরীক্ষা হয়ে ২০২২ সালে ফল প্রকাশিত হয়। এবার ফের টেট হতে চলেছে ডিসেম্বরে। সেই সঙ্গে নিয়োগ হতে চলেছে প্রাথমিকের শিক্ষক পদে।