চেন্নাই: রাজীব গাঁধী হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরও মুক্তি মেলে। বুধবার চেন্নাইয়ে মারা গেলেন টি সুতেন্দ্ররাজা ওরফে সনাতন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর।  গত একমাস ধরে হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন তিনি। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন। বুধবার সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (Rajiv Gandhi Assassination)


রাজীব গাঁধী গভর্নমেন্ট জেনারেল হাসপাতালেই মৃত্যু দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর হত্যার ষড়যন্ত্রকারী


হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বুধবার মারা গিয়েছেন সনাতন। আদতে শ্রীলঙ্কার বাসিন্দা তিনি। সেখানে গোটা পরিবার রয়েছে। বৃদ্ধা মায়ের কাছে ফিরে যেতে চান বলে একাধিক বার জানান সনাতন, কিন্তু তা আর হল না। বুধবার মৃত্যুশয্যায় ভাই পাশে ছিলেন সনাতনের।  তবে শ্রীঙ্কার বাড়িতে দেহ নিয়ে গিয়েই সৎকার করা হবে বলে জানিয়েছেন সনাতনের পরিবারের লোকজন। ( T Suthendraraja)


যকৃতের সমস্যা নিয়ে চেন্নাইয়ে রাজীব গাঁধী গভর্নমেন্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন সনাতন। সেখানেই বুধবার সকাল ৭টা বেজে ৫০ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সনাতন।  হাসপাতালের ডিন ভি থেরানিরাজন জানিয়েছেন, ভোর ৪টে নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হন সনাতন। CPR দিয়ে সেযাত্রায় রক্ষে হয়। কিন্তু ফের হৃদরোগে আক্রান্ত হলে সকাল ৭টা বেজে ৫০ মিনিটে মারা যান। 


আরও পড়ুন: Akhilesh Yadav: এবার অখিলেশ যাদবকে CBI তলব, কালই জিজ্ঞাসাবাদ


রাজীব গাঁধী হত্যা মামলায় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার জন্য, ১৯৯৯ সালে মৃত্যুদণ্ড শোনানো হয় সনাতন-সহ মোট তিন জনকে। বাকি দু'জন হলেন মুরুগান এবং পেরাইয়াবালন। সুপ্রিম কোর্টও সেই সাজার নির্দেশ বহাল রাখে। কিন্তু ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়। এর পর, ত্রিচী-তে বিশেষ শিবিরে রাখা হয়েছিল সনাতনকে। তামিলনাড়ু সরকার মাদ্রাজ হাইকোর্টে জানায়, শ্রীলঙ্কা সরকার আপাতত সনাতনকে ফেরত নিতে আগ্রহী নয়। তার নথিপত্রের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। 


আসলে শ্রীলঙ্কার বাসিন্দা সনাতন, মুক্তির পর দেশে ফিরে যেতে চেয়েছিলেন, তবে ভারতেই মৃত্যু


১৯৯১ সালে লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলাম-এর সদস্যরা মিলে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীকে হত্যা করেন। মালা পরানোর নাম করে কাছে গিয়ে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সনাতনও ওই সংগঠনের সদস্য ছিলেন বলে জানায় CBI. রাজীব-হত্যার ষড়যন্ত্রেও তিনি লিপ্ত ছিলেন বলে জানা যায়।