লেহ্: চিনা আগ্রাসন থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতা, লাদাখের মানুষের জন্য টানা ২১ দিন অনশন করেছেন। রবিবার হাজার হাজার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সীমান্ত অভিমুখে পদযাত্রা নামছেন পরিবেশকর্মী তথা শিক্ষা সংস্কারক সোনম ওয়াংচুক (Sonam Wangchuk), তার আগে লাদাখে জারি হল ১৪৪ ধারা। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ইন্টারনেট পরিষেবাতেও নামল খাঁড়া। শুধুমাত্র 2G পরিষেবা মিলবে। 3G, 4G, 5G ওয়াইফাই পরিষেবা বন্ধ থাকবে। লেহ্ এবং সংলগ্ন ১০ কিলোমিটার এলাকায় শনিবার সন্ধে ৬টা থেকে রবিবার সন্ধে ৬টা পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এই বিধিনিষেধ। (Section 144 in Leh)
লেহ্ জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন জেলা প্রশাসক। আগে থেকে লিখিত অনুমতি না নেওয়া থাকলে কোনও রকমের মিটিং, মিছিল, পদযাত্রা করা যাবে না বলে পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরও বলা হয়েছে যে, পূর্ব অনুমোদন ছাড়া কোনও গাড়িতে লাউডস্পিকার ব্যবহার করা যাবে না। কোনও রকম জমায়েত চলবে না জেলার কোথাও।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সার্বিক শান্তি বিঘ্নিত হয় বা আইনশৃঙ্খলার লঙ্ঘন হয়, এমন কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না কেউ, এমন নির্দেশও দিয়েছে জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি, আসন্ন লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি যেহেতু জারি হয়ে গিয়েছে, তাই বিধি মেনেই সকলকে চলতে হবে, আইনের কোনও রকম লঙ্ঘন বরদাস্ত করা হবে না বলেও জানানো হয়েছে।
বেশ কিছু দিন ধরেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সোনম। লাদাখকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে হবে বলে দাবি তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি, লাদাখকে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তুলেছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে হিমালয় পার্বত্য় অঞ্চলে যে সঙ্কট নেমে এসেছে, তার বিরুদ্ধেও সরব তিনি।
লাদাখে চিনা আগ্রাসন নিয়ে কেন্দ্র উদাসীন বলেও অভিযোগ তুলেছেন সোনম। তাঁর দাবি, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে লাদাখে ভারতের ৪০০০ বর্গ কিলোমিটার ভূখণ্ড দখল করে নিয়েছে চিন। বার বার সেই নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েও, বিষয়টি নিয়ে উদাসীন কেন্দ্র। তাই লাদাখে LAC অভিমুখে 'পশমিনা পদযাত্রা'র ঘোষণা করেছেন তিনি।
লাদাখের সামাজিক, ধর্মীয় এভং রাজনৈতিক সংগঠনগুলিকে নিয়ে যে সর্বোচ্চ কমিটি রয়েছে, তার সদস্য সোনম। তিনি জানিয়েছেন, মহাত্মা গাঁধীকে অনুসরণ করছেন তিনি। মহাত্মা গাঁধীর সত্যাগ্রহের রাস্তায় হাঁটছেন। ২০১৯ সালে বিজেপি সরকার নিজেদের নির্বাচনে ইস্তেহারে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সেগুলি পূরণের দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।