নয়া দিল্লি: ইউপিএ-কে চাঙ্গা করতে নেতৃত্বে রদবদল প্রয়োজন বলে মন্তব্য করে বিতর্ক বাঁধাল শিবসেনার মুখপত্র সামনা।  পত্রিকার সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে,  কংগ্রেসই  ইউপিএ-র মূল ভিত্তি।  তাই কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ-তে রদবদল প্রয়োজন। 


শিবসেনার মুখপত্রে  বলা হয়েছে, ইউপিএ-র ছাতার তলায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে বিরোধী দলগুলিকে। শরদ পওয়ার, উদ্ধব ঠাকরে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কে সি রাও, এম কে স্ট্যালিনের মতো অভিজ্ঞ নেতানেত্রীরা রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করা উচিত। কিন্তু কংগ্রেস সেই কাজে এগিয়ে আসেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হয় বলে মন্তব্য করা হয়েছে সামনায়।সেইসঙ্গে বলা হয়েছে,  কংগ্রেসের কিছু পারিবারিক সমস্যা থাকতে পারে।  কিন্তু তা যেন বিরোধী ঐক্যের পথে বাধা না হয়, সেটা দেখতে হবে।                                                                                                  


আরও পড়ুন, ইনজেকশনেই শরীরে তৈরি হবে হাড়! আইআইটি অধ্যাপকের আবিষ্কারে চমক


সম্পাদকীয়তে শিবসেনা আরও বলেছে যে কংগ্রেস পার্টির নিজের মধ্যে কিছু পারিবারিক সমস্যা থাকতে পারে, তবে এই সমস্যাটি বিরোধীদের ঐক্যে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। এটি লক্ষণীয় যে এর আগে ইউপিএ সাংবিধানিক দলটি তার জাতীয় কার্যনির্বাহী সভায় এনসিপির যুব শাখা শরদ পাওয়ারকে করার একটি প্রস্তাব পাস করেছে। 


অন্যদিকে, অন্যদিকে, আঞ্চলিক দলগুলিকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, কংগ্রেসের উপর নির্ভর করলে চলবে না। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরেই এই বার্তা দিয়েছিলেন  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাজবাদী পার্টি (SP), আম আদমি পার্টির (AAP) মতো দলের সঙ্গে খুব শীঘ্রই আলোচনা সেরে ফেলতে চাইছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সংসদের চলতি বাজেট অধিবেশনে এই দুই দল তো বটেই, পাশাপাশি ডিএমকে, শিব সেনা, টিআরএসের মতো সমমনষ্ক দলগুলিকেও তৃণমূল এই আঞ্চলিক জোটে নিয়ে আসার চেষ্টা করবে বলে জানা গিয়েছে।