নয়া দিল্লি: ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে অনেকেই হাতে লাল তাগা কিংবা লাল সুতো পরে থাকেন। কিন্তু সেই কারণে যে এত বড় ঘটনা ঘটে যাবে, তা স্বপ্নেও কেউ ভাবতে পারেনি। হিন্দু ছাত্রের হাত থেকে লাল সুতো কেটে ফেলে দিলেন এক শিক্ষক। এই ঘটনাকে "অসংবেদনশীল এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন" বলে নিন্দার ঝড় তুলেছেন হিন্দু সম্প্রদায়।
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। গত সপ্তাহে কোয়াজুলু-নাটাল প্রদেশের ড্রাকেন্সবার্গ বিদ্যালয়ে ক্লাস টেন-এ এই ঘটনাটি ঘটে। সংবাদমাধ্যম এনটিভিতে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকার হিন্দু মহাসভা (SAHMS) হিন্দু ছাত্রের কব্জি থেকে লাল তাগা কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়ার পর ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। স্কুলের তরফে এও অভিযোগ এসেছে যে স্কুলে সাংস্কৃতিক বা ধর্মীয় প্রতীক পরার অনুমতি নেই।
রবিবার একটি প্রেস বিবৃতি জারি করে দক্ষিণ আফ্রিকার হিন্দু মহাসভা। সেখান থেকে তাঁরা বলে, একজন শিক্ষক একজন হিন্দু শিক্ষার্থীর হাত থেকে কীভাবে এই লাল সুতো কেটে ফেলতে পারে? এই ঘটনা দায়িত্বজ্ঞানহীন। তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে SAHMS।
এদিকে ওই সংস্থার তরফে এও জানান হয়, ইতিমধ্যেই স্কুল ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার অভিযোগের তদন্ত করছে। কিন্তু সেই তদন্ত ব্যাহত হচ্ছে। কারণ যে ছাত্রের সঙ্গে এমনটা হয়েছে তিনি নির্যাতনের ভয়ে প্রকাশ্যে আসতে ভয় পাচ্ছে, এমনটাই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে।
যদিও এই ঘটনাকে সমর্থন করছেন না কোয়াজুলু-নাটালের প্রাদেশিক শিক্ষা বিভাগের মুখপাত্র মুজি মাহলাম্বি। তার কথায়, ক্ষিণ আফ্রিকার দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি ভারতীয় বংশোদ্ভূত নাগরিক বাস করেন। সব দেশেই সব ধর্মের অনুশীলন করা যেতেই পারে। কোনও শিক্ষার্থীকে এভাবে শাস্তির সম্মুখীন হওয়া কখনই কাম্য নয়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে