সমীরণ পাল, ব্যারাকপুর: লজ্জার সেঞ্চুরি পার করেও, থামছে না পেট্রোলের দৌড়। ডিজেলেও সেঞ্চুরি হল বলে। আর জ্বালানির এই মূল্যবৃদ্ধিকে হাতিয়ার করেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সুর আরও চড়াল তৃণমূল। শনিবারের পর রবিবারও পথে নেমে প্রতিবাদ দেখাল শাসকদল। পেট্রোল, ডিজেল সহ রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে নিজের বিধানসভা এলাকায় সাইকেল নিয়ে ঘুরলেন ব্যারাকপুর বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। এদিন ব্যারাকপুর বটতলা থেকে তালপুকুর হয়ে টিটাগড়ে গিয়ে শেষ হয় এই র্যালি। সঙ্গে সামিল হন বারাকপুর পুরসভার প্রশাসক উত্তম দাস ও তৃণমূল কর্মীরা।
রবিবার অপরিবর্তিত ছিল পেট্রোল ও ডিজেলের দাম। এদিন লিটার প্রতি পেট্রোলের মূল দাম ৪৫ টাকা ১৩ পয়সা এবং ডিজেল ৪৫ টাকা ৭৫ পয়সা। এর উপর এক্সাইজ ডিউটি বাবদ পেট্রোলে ৩২ টাকা ৯০ পয়সা এবং ডিজেলে ৩১ টাকা ৮০ পয়সা কর নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। সেস ও ভ্যাট মিলিয়ে রাজ্য সরকার পেট্রোলে নেয় ১৯ টাকা ৫১ পয়সা এবং ডিজেলে নেয় ১৩ টাকা ১৮ পয়সা। কমিশন বাবদ পেট্রোলে ৩ টাকা ৪৮ পয়সা ও ডিজেলে ২ টাকা ২৩ পয়সা পান ডিলাররা। পেট্রোলে ৫২ টাকা, আর ডিজেলে ৪৪ টাকা মোদি ও মমতা সরকারের কর।
পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন আরও তীব্র করল তৃণমূল। পথে নামলেন মন্ত্রী, বিধায়করা। কেউ গাড়ি টেনে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন। কোথাও আবার বর-বউ সাজিয়ে গরুরগাড়িতে নিয়ে অভিনবভাবে প্রতিবাদ জানানো হয়। যা নিয়ে শাসক দলকে পাল্টা আক্রমণ করেছে বিজেপি।যাদবপুরের সাইকেল মিছিল করেন অরূপ বিশ্বাস। পেট্রোপণ্য ও রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাগুইআটিতে রাস্তায় নামানো হয় নৌকা। কাঠের উনুনে চলে রান্না। চিনার পার্কে তাপস চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গরুর গাড়িতে চেপে হয়ে বিক্ষোভ। বালুরঘাটে বর-বউ সাজিয়ে গরুরগাড়িতে চাপিয়ে অভিনব ভাবে প্রতিবাদ দেখায় তৃণমূল। উত্তরপাড়ায় দড়ি ধরে টানা হয় গাড়ি। তাতে হাত লাগান তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে পেট্রোপণ্য ও রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে তৃণমূলের প্রতিবাদে সামিল হন বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা।