ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: ভুয়ো আইএএস, ভুয়ো সিবিআই-এর পর এবার ভুয়ো ডিএসপি পরিচয়ে হোম গার্ডে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ। চাঁদনি চকের একটি হোটেল থেকে কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখার হাতে গ্রেফতার ৪। ধৃতদের মধ্যে একজন কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কর্মী।
প্রথমে, নিজেকে ডিএসপি বলে দাবি। তারপর হোম গার্ডে চাকরি দেওয়ার টোপ। হোটেলে ডেকে এনে রীতিমতো ইন্টারভিউ নেওয়া। তারপর চাকরিপ্রার্থীদের আস্থা অর্জন করতে, জাল নিয়োগপত্র, খাকি টুপি-বেল্ট দেওয়া। আর এভাবেই ৩৫ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল। পুলিশ সূত্রে খবর, কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখার কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন রবি মুর্মু। প্রতারণার অভিযোগে ২০১১ সালে তাঁর চাকরি যায়। প্রাক্তন পুলিশ কর্মীই ভুয়ো ডিএসপি পরিচয়ে প্রতারণা-চক্রের বড় পাণ্ডা বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের তালিকায় রয়েছে আরও ৩ জন।
পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির বাসিন্দা সমরেশ মাহাতোর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতারণার কারবার প্রকাশ্যে আসে। অভিযোগ, নাম ভাঁড়িয়ে DSP পরিচয় দিয়ে রাজ্য পুলিশের হোম গার্ডে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় অভিযুক্তরা। হাতিয়ে নেওয়া হয় ৩৫ লক্ষ টাকা। অভিযোগকারীর দাবি, চাঁদনি চকের কসমস হোটেলে টাকা নেওয়া হয়। সেখানেই দেওয়া হয় জাল নিয়োগপত্র। আর সেই নথি দেখেই সন্দেহ হয় অভিযোগকারীদের। পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরা। হোটেল কসমসের ম্যানেজার বলেন, গতকাল পুলিশ এসেছিল।
তদন্তে নেমে গতকাল মুর্শিদাবাদ, মালদা, পশ্চিম মেদিনীপুর ও উত্তর ২৪ পরগনার চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মাসুদ রানা নামে, মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা, এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা দমন শাখা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে, আরও ৩ জনের নাম। তাঁরা হলেন, রবি মুর্মু(৪০), শুভ্র নাগ রায়(৪৪),পরিতোষ বর্মণ(৫০)। উদ্ধার হয়েছে ভুয়ো পরিচয়পত্র, জাল নিয়োগপত্র, খাকি টুপি ও বেল্ট। প্রতারণা-চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, নাম ভাঁড়ানো, প্রতারণা ও জালিয়াতির ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।