বহরমপুর: ৩০ বছর কংগ্রেস করার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ। তারপর রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য হওয়া। এরপর মন্ত্রীত্ব খোয়াতেই আবার কংগ্রেসে কামব্যাক। সেই কংগ্রেস ছেড়ে ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর দিল্লিতে গিয়ে বিজেপি-তে যোগ। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফের ‘ঘরওয়াপসি’। বুধবার নরেন্দ্র মোদির অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভূমিপুজোর পরের দিনই হুমায়ুন কবীর আবার তৃণমূলে যোগ দিলেন। ৮ বছরে এই নিয়ে ৫ বার দলবদল করলেন বহরমপুরের হুমায়ুন।


আরও পড়ুন: অযোধ্যায় শেষ পর্যন্ত মসজিদই থাকবে, ভূমিপুজো করে ভুল করেছেন প্রধানমন্ত্রী: সিদ্দিকুল্লা

ওয়াকিবহল মহলের মতে একুশের বিধানসভা ভোটের আগে বহরুমপুরে পুরনো নেতা-কে ফিরিয়ে একদিকে যেমন বিজেপি-কে ধাক্কা দিল তৃণমূল, একইসঙ্গে খানিক শক্তিও বাড়িয়ে নিল শাসকদল। যদিও হুমায়ুন কবীরের চলে যাওয়াকে ‘ক্ষতি’ বলেই মানছে না গেরুয়া শিবির।

আরও পড়ুন: রামজন্মভূমির পর মিশন মথুরা, ‘মসজিদ গুড়িয়ে মন্দির নির্মাণ’, হুঙ্কার বিজেপি মন্ত্রীর

জেলা বিজেপি-র তরফে উল্টে বলা হয়, হুমায়ুন কবীর ‘সুবিধাবাদী নেতা’। মন্ত্রীত্বের লোভে তৃণমূলে গিয়েছিলেন। পদ খুইয়ে ফের কংগ্রেসে এসেছেন। তারপর নির্দল থেকে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন। এখন আবার তৃণমূল। সব দলেই তিনি সুযোগ খোঁজেন বলেও হুমায়ুনকে কটাক্ষ বিজেপি-র।

 আরও পড়ুন: রামমন্দির নয় এই সময় দরকার করোনার ভ্যাকসিন: দেব

তৃণমূলে ফিরেই ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়গান হুমায়ুনের গলায়। তাঁর বক্তব্য, “২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর দিল্লিতে গিয়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলাম। আজ স্বেচ্ছায় সাম্প্রদায়িক দল ছেড়ে দিলাম। অনেকে আমার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করে তাঁদের যোগ্য জবাব দেব।”