কলকাতা: মালদার দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ছিলেন প্রশান্ত কিশোরও। বৈঠকে আমন্ত্রিত ৮ জনের মধ্যে মৌসম, সাবিত্রী-সহ ৩ জন অনুপস্থিত ছিলেন। শুভেন্দুকে নিয়ে বৈঠকে কথা হয়নি বলে দাবি কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর।


তৃণমূলে পর্যবেক্ষক পদ বিলোপের আগে মালদা জেলার পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি মালদার পর্যবেক্ষক থাকাকালীনই, জেলা পরিষদ দখল করে তৃণমূল। সেই শুভেন্দু মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর পরদিনই মালদার নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসলেন তৃণমূল সাংসদ তথা যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরও। যদিও, বৈঠকে গরহাজির থাকলেন অনেকে।

তৃণমূল সূত্রে দাবি, মালদা জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর, তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী, প্রাক্তন মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র-সহ মালদার ৮ নেতাকে এদিনের বৈঠকে ডাকা হয়। কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ-সহ ৫ নেতা এলেও, সাবিত্রী মিত্র, মৌসম বেনজির নূর-সহ ৩ জন আসেননি। তবে কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর দাবি, বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি।

মালদা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ বলেন, ‘শুভেন্দু নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। শুভেন্দু কোনও ফ্যাক্টর নয়।’

সাবিত্রী মিত্র-সহ তিন তৃণমূল নেতা-নেত্রীর অনুপস্থিতিতে মাথাচাড়া দিয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জল্পনা। দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা কার্যত মেনে নিয়েছেন মালদা জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যানও। মালদা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বলছেন, ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছিল, থাকবেও।’

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে মালদা জেলার দু’টি আসনের মধ্যে একটিতেও জিততে পারেনি তৃণমূল। লোকসভা ভোটের বিধানসভাওয়াড়ি ফল অনুযায়ী, মালদা জেলার ১২টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৬টিতে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। তৃণমূল এগিয়ে ২টিতে। বাকি চারটি আসনে এগিয়ে কংগ্রেস।

পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, শুভেন্দু অধিকারী যদি ভবিষ্যতে তৃণমূল ছাড়েন, তাহলে মালদায় তৃণমূলের লড়াই আরও কঠিন হবে। সেকথা মাথায় রেখেই কি তড়িঘড়ি বৈঠক? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।