WB Election 2021 LIVE: লোকসভায় উত্তরবঙ্গে আমি গো-হারা হেরেছি, এবার আমায় ফেরাবেন না, শিলিগুড়ির জনসভা থেকে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
West Bengal Assembly Election 2021 LIVE Updates: রাজ্যে ৩ জন জেড ক্যাটিগরির নিরাপত্তা পান। এঁরা হলেন, রাজ্যপাল, বাবুল সুপ্রিয় ও শুভেন্দু অধিকারী। এবার সেই তালিকায় জুড়ল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম।
এবার জেড ক্যাটিগরির নিরাপত্তা পেলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার চার্টার্ড বিমানে দিল্লিতে উড়ে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়ক। গতকাল হাওড়ার ডুমুরজলার সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন তিনি।
সভা থেকে ফেরার পথে, হাওড়ার বেশ কয়েকটি জায়গায় বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ হয়।
সূত্রের খবর, এরপরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তাঁকে জেড ক্যাটিগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়।
এই ব্যবস্থায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকেন এক কম্যান্ডান্ট-সহ ২৪ জন সিআরপিএফ জওয়ান।
রাজ্যে ৩ জন জেড ক্যাটিগরির নিরাপত্তা পান। এঁরা হলেন, রাজ্যপাল, বাবুল সুপ্রিয় ও শুভেন্দু অধিকারী। এবার সেই তালিকায় জুড়ল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম।
মালদার হবিবপুরে উলট পুরাণ। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন এসটি মোর্চার নেতা তথা প্রাক্তন জেলা সম্পাদক। গতকাল ইংরেজবাজারে যোগদান কর্মসূচিতে ৫০ জন কর্মীকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন প্রদীপ বাস্কে।
২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে তিনি হবিবপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ছিলেন। সিপিএমের খগেন মুর্মুর কাছে পরাজিত হন।
দলে গুরুত্ব পাচ্ছিলাম না, পাশাপাশি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হওয়ার জন্যই দলত্যাগের সিদ্ধান্ত, দাবি বিজেপিত্যাগী নেতার।
এর ফলে হবিবপুরে দলীয় সংগঠন আরও শক্তিশালী হল বলে দাবি করেছেন জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নুর। বিজেপির দাবি, ভুল বুঝে দল ছেড়েছেন ওই নেতা, খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসবেন।
মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান, মহিলাদের অশালীন ভাষায় আক্রমণের অভিযোগ উঠল সৌমিত্র খাঁ-র বিরুদ্ধে। পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানায় বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন এক মহিলা।
২৭ জানুয়ারি, খণ্ডঘোষের বেড়ুগ্রামে বিজেপির সভায় যোগ দেন সৌমিত্র খাঁ।
অভিযোগ, সভায় মুখ্যমন্ত্রীর নামে অপমানসূচক মন্তব্য ও মহিলাদের অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপি সাংসদ। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
তৃণমূলের দাবি, বিজেপি বিকারগ্রস্তদের দল। মহিলাদের সম্মান করতে জানে না।
বিজেপির পাল্টা কটাক্ষ, ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ক্ষমা চেয়েছেন সৌমিত্র খাঁ। তৃণমূল নেতারা অন্যায় করেও ক্ষমা চান না। সৌমিত্র খাঁ-র প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বচসা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। বাইক-বাসে ভাঙচুর, ৩ বিজেপি কর্মী জখম।
ডুমুরজলার সভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখলেন অমিত শাহ। বললেন, ‘মোদিজির নেতৃত্বে বাংলায় পরিবর্তন নিশ্চিত। বিজেপি সরকার বাংলাকে সুরক্ষিত করবে। কৃষকদের আয় যাতে দ্বিগুণ হয়, বিজেপি সেটা দেখবে। সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্য পূরণ করব।’
ডুমুরজলার সভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখলেন অমিত শাহ। বললেন, ‘ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করা ছাড়া আর কোনও লক্ষ্য নেই। তৃণমূল সরকার একমাত্র ভাইপোর কল্যাণে ব্যস্ত।’
ডুমুরজলার সভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখলেন অমিত শাহ। বললেন, ‘দিদি শুধু কৃষকদের নাম দিয়েছেন, কোনও তথ্য দেননি। ফের একবার বাংলার কৃষকদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন তিনি। অ্যাকাউন্টের তথ্য না দিলে টাকা যাবে কী করে? বাংলার মাটিকে অনুপ্রবেশকারীদের জন্য খুলে দিয়েছেন তিনি।’
ডুমুরজলার সভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখলেন অমিত শাহ। বললেন, ‘শুধু মোদি এনেছেন বলে আয়ুষ্মান ভারত কার্যকর করলেন না। ক্ষমতায় এসে প্রথমেই আয়ুষ্মান ভারত চালু করব। ভোট আসতে আসতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা হয়ে যাবেন। তাঁর সঙ্গে দাঁড়াবার কেউ থাকবে না।’
ডুমুরজলার সভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখলেন অমিত শাহ। বললেন, ‘বিজেপিতে যাঁরা যোগ দিলেন, তাঁদের স্বাগত জানাই। মা-মাটি-মানুষের স্লোগান অদৃশ্য হয়ে গেছে। তার জায়গায় দুর্নীতির স্লোগান উঠেছে। বাংলার গরিবরা মমতা দিদির কী ক্ষতি করেছে?’
ডুমুরজলার সভায় বক্তব্য রাখলেন স্মৃতি ইরানি। বললেন, ‘দিদি গরিব মানুষের এত ক্ষতি কেন করলেন? দিদি গ্যাস সিলিন্ডার দিতে চাননি। প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমে রান্নার গ্যাস দিয়েছেন। দেবশ্রীদি, দিলীপদারা কোভিডের সময় মানুষকে সাহায্য করতে চান। কিন্তু জনপ্রতিনিধিদেরও বাধা দেওয়া হয়। দিদি আপনি মহাপাপ করেছেন, বাংলার মানুষ ক্ষমা করবে না।’
ডুমুরজলার সভায় বক্তব্য রাখলেন স্মৃতি ইরানি। বললেন, ‘আপনার দলের একজন নেতার বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ হয়নি। আপনার দলের নেতা অভিযোগ তুললেও কিছু করেননি। লকডাউনে কেন্দ্র শ্রমিক ট্রেন দিয়েছিল। দিদি সেই ট্রেনকে করোনা এক্সপ্রেস বলেছিলেন। ভিনরাজ্যে কাজ করতে যাওয়া মানুষরা কী ভাইরাস?’
ডুমুরজলার সভায় বক্তব্য রাখলেন স্মৃতি ইরানি। বললেন, ‘লকডাউনে লুঠ করেছে তৃণমূল। লকডাউনে চাল-ডাল চুরি করেছে তৃণমূল। তৃণমূল সমর্থকরাই খাদ্যের কুপন পেয়েছে। গরিবরা যখন খাবার চেয়েছে, দিদির পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে।
ডুমুরজলার সভায় বক্তব্য রাখলেন স্মৃতি ইরানি। বললেন, ‘জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছতে হবে। জয় শ্রীরাম ধ্বনির অপমান করে যারা, সেই দলে দেশভক্ত নেই। চুপচাপ চুপচাপ, পদ্মে ছাপ।’
ডুমুরজলার সভায় বক্তব্য রাখলেন দিলীপ ঘোষ। বললেন, ‘তৃণমূলে থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন। বিজেপি সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাবে। হাওড়া আজকে দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে।’
ডুমুরজলার সভায় বক্তব্য রাখলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘বাংলা জুড়ে ‘চলুন পাল্টাই’ স্লোগান তুলুন। অমিত শাহ বলেছেন, এবার আর ধমকে-চমকে ভোট হবে না। আমরাও জানি, কীভাবে ভোট করাতে হয়।’
ডুমুরজলার সভায় বক্তব্য রাখলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘ভোটের মুখে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করা হচ্ছে। এসবই ভাঁওতাবাজি, বোকা বানানো হচ্ছে। সবাই কার্ড নিয়ে হাসপাতালে যান, দেখুন কাজ হচ্ছে কিনা। হাসপাতালে ডাক্তার নেই, নার্স নেই, শুধু কার্ড দেওয়া হচ্ছে। এদের বাজেটই নেই, ভোটের স্বার্থে রাজ্যকে বিক্রি করছে।’
ডুমুরজলার সভায় বক্তব্য রাখলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘ভোটের মুখে দুয়ারে সরকার করতে হচ্ছে। ভোটের আগে দুয়ারে পৌঁছতে পারেনি সরকার। তাই ভোটের আগে করতে হচ্ছে। বিজেপির সরকার প্রথম দিন থেকে মানুষের কাছে পৌঁছবে।’
ডুমুরজলার সভায় বক্তব্য রাখলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘এ কেমন রাজনীতি, যেখানে কোনও শিষ্টাচার নেই? সংখ্যালঘুদের বিজেপির জুজু দেখানো হয়েছে। বিজেপির জুজু দেখিয়ে ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে সবার জন্য কাজ করবে।’
ডুমুরজলার সভায় বক্তব্য রাখলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘অমিত শাহের কাছ থেকে বাংলার জন্য প্যাকেজ চেয়েছি। অমিত শাহ বলেছেন বাংলায় তিনি ক্যাম্প করে থাকবেন।’
ডুমুরজলার সভায় বক্তব্য রাখলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘বামফ্রন্ট জমানায় শুধু কেন্দ্রের দোহাই দেওয়া হত। এই সরকারও সংকীর্ণ রাজনীতির ওপরে উঠতে পারেনি। কেন্দ্রে ও রাজ্যে এক সরকার চাই। ডাবল ইঞ্জিন সরকারই রাজ্যকে দিশা দেখাতে পারে।’
ডুমুরজলার সভায় বক্তব্য রাখলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘আজ শিল্প সব শ্মশানে পরিণত হয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে শিল্প আনব। আজ কাজ না পেয়ে রাজ্যের বাইরে যেতে হচ্ছে। ’
ডুমুরজলার সভায় বক্তব্য রাখলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘অমিত শাহ যে লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছেন, তাতে আমরা পৌঁছব। বাংলার মানুষের আজ অনেক হতাশা। কাজ নিশ্চই কিছু হয়েছে, কিন্তু অনেক বাকি। আজ বেকার যুবক-যুবতীদের সরকার দিশা দিতে পারেনি।’
ডুমুরজলার সভায় বক্তব্য রাখলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘আগেও মানুষের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেছি। দরকার হলে পাড়ায় পাড়ায়, বুথে বুথে যাব। একটা সময় স্লোগান ছিল, বদলা নয় বদল চাই। বার বার দেখেছি বিরোধীদের ওপর হামলা হয়েছে। ওদের শেষের শুরু হয়ে গেছে।’
ডুমুরজলার সভায় বক্তব্য রাখলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘যা উন্মাদনা দেখছি, তাতে রাজ্যে পদ্ম ফুটবেই। বিজেপিতে যতদিন থাকব, কর্মীদের অসম্মান করব না। যখন তৃণমূলে কেউ যোগ দেয়, তখন বলা হয় উন্নয়নের স্বার্থে। আর কেউ তৃণমূল ছাড়লে বিশ্বাসঘাতক বলা হয়। যত অপশব্দ ব্যবহার করবেন, তত মানুষের আশীর্বাদ পাব।’
ডুমুরজলার সভায় বক্তব্য রাখলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘যা উন্মাদনা দেখছি, তাতে রাজ্যে পদ্ম ফুটবেই। বিজেপিতে যতদিন থাকব, কর্মীদের অসম্মান করব না। যখন তৃণমূলে কেউ যোগ দেয়, তখন বলা হয় উন্নয়নের স্বার্থে। আর কেউ তৃণমূল ছাড়লে বিশ্বাসঘাতক বলা হয়। যত অপশব্দ ব্যবহার করবেন, তত মানুষের আশীর্বাদ পাব।’
ডুমুরজলার সভায় বক্তব্য রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, ‘আমি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একযোগে লড়াই করেছিলাম। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠালগ্নের নেতা বাণী সিংহরায়। তিনিও আজ বিজেপিতে এলেন। তৃণমূল এখন প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হয়ে গেছে। তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনও লোক থাকবে না। কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাকে তৃণমূলশূন্য করব। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডকে বিশ্বাস করবেন না। আমরা ক্ষমতায় এলে আয়ুষ্মান ভারত শুরু করব। দেশকে রক্ষা করতে গেলে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি চাই। লকডাউনের চাল, আমফানের টাকা কে চুরি করেছে?’
অমিত শাহ না এলেও, হাওড়ার ডুমুরজলায় বিজেপির সভা হচ্ছে। সভামঞ্চে উপস্থিত আছেন স্মৃতি ইরানি, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষ-সহ বিজেপি নেতৃত্ব। রয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া, প্রবীর ঘোষাল, রথীন চক্রবর্তী, রুদ্রনীল ঘোষরা। বিজেপির মঞ্চে হাজির হয়েছেন তৃণমূল নেতা বাণী সিংহ রায়ও।
হাওড়ার ডোমজুড়ের চামরাইলে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির নীচে লেখা হল বিশ্বাসঘাতক। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা গতকাল রাতে এলাকায় জড়ো হয়ে ডোমজুড়ের প্রাক্তন বিধায়কের ছবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। এনিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। গতকাল চার্টার্ড বিমানে দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী।
কোন্নগরের ধাড়সা মোড়ে উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষালের ছবিতে কালি লাগালেন তৃণমূল কর্মীরা। তৃণমূলত্যাগী বিধায়ককে বিশ্বাসঘাতক অ্যাখ্যা দিয়ে এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল করেন তাঁরা। রাস্তা ঝাঁট দিয়ে, গঙ্গাজল ছড়িয়ে এলাকা শুদ্ধ করা হয়। তৃণমূল কর্মীরা ফোনে বলছেন দলের চাপে এই কাজ করছেন, আসলে তাঁরা আমার সঙ্গেই আছেন, প্রতিক্রিয়া প্রবীর ঘোষালের।
খেলা হবে। ভয়ঙ্কর খেলা হবে। এই মাটিতেই খেলা হবে। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের এই হুঁশিয়ারির পরে, আজ ফের পাড়ুইয়ে তৃণমূল কর্মীদের বাইক মিছিল। সঙ্গে খেলা হবে স্লোগান, বাজানো হয় সাউন্ড বক্স।এদিন দেবগ্রাম মোড় থেকে প্রায় ২০০টি বাইক নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় মিছিল করেন তৃণমূল কর্মীরা। লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের জেরে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পাড়ুই। লোকসভা নির্বাচনের পর, এই এলাকায় বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি হয়। শুক্রবার দুবরাজপুর, গতকাল কীর্ণাহার, মল্লারপুর, ময়ূরেশ্বর থেকে সাঁইথিয়ায়, বাইক র্যালি করে দাপিয়ে বেড়ান তৃণমূল কর্মীরা। এনিয়ে তুঙ্গে উঠেছে বিজেপি-তৃণমূল তরজা।
ব্যারাকপুরে কিছু হলে মির্জাপুর থ্রি বানিয়ে দেব। ফের হুমকির সুর মদন মিত্রর গলায়। গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন জনসভায় অর্জুন সিংকে আক্রমণ করছেন কামারহাটির প্রাক্তন বিধায়ক। গতকাল মদন-গড়ে চায়ে পে চর্চায় যান ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনুমান, রাজনৈতিকভাবে মদন মিত্রকে মোকাবিলা করতেই এদিন তাঁর এলাকায় যান অর্জুন সিং। রাজনীতির মঞ্চেই লড়ে নেব, পাল্টা কটাক্ষ মদন মিত্রর।
গতকালই দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলের নেতা-বিধায়করা। এরপরই মিরজাফর অ্যাখ্যা দিয়ে দলত্যাগীদের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল।
আজ সকালে মধ্য হাওড়ার কাসুন্দিয়া রোডে হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তীকে সুযোগসন্ধানী অ্যাখ্যা দিয়ে পোস্টার দেখা যায়। তাঁর বাড়ির সামনেই হাওড়া নাগরিক সমাজের নামে লাগানো হয়েছে পোস্টারগুলি। এনিয়ে রথীন চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
অঞ্চল ও ব্লক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে এবার মালদার কালিয়াচকে প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। রীতিমতো সভা করে জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন দলীয় নেতৃত্বের একাংশ। ২৬ জানুয়ারি, কালিয়াচক ১ নম্বর ব্লকে তৃণমূলের ব্লক ও অঞ্চল কমিটি ঘোষণা করা হয়। গতকাল কালিয়াচকের ডাঙা এলাকায় সভা করে কমিটি গঠন নিয়ে জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল নেতা তথা ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আতিউর রহমান। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকিও দিয়েছেন তিনি। অস্বস্তি ঢাকতে কমিটি গঠন নিয়ে ভুল হওয়ার কথা স্বীকার করেছে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। বিজেপির কটাক্ষ, গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই শেষ হতে চলেছে তৃণমূল।
শনিবার রাতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ের খোড়াই গ্রাম। উভয়পক্ষের ৮ জন আহত হয়েছেন। বিজেপির অভিযোগ, এক কর্মীর বাড়িতে দলীয় বৈঠক চলাকালীন রড, লাঠি, বোমা নিয়ে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। মারধরের পাশাপাশি, বোমাও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর করা হয় ৫টি বাইক। গুরুতর জখম হন ২ মহিলা সহ ৫ বিজেপি কর্মী। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরাই হামলা চালায়, বোমা ছোড়ে। আহত হন ৩ তৃণমূল কর্মী। উভয়পক্ষের ৮ জনই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। রাতে সবং থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।তৃণমূলের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে তৃণমূল বুথ সভাপতিকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। গুরুতর জখম ওই শাসক-নেতাকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। হরিশ্চন্দ্রপুরের রামপুর গ্রামের ঘটনা। অভিযোগ, গতকাল রাতে বাড়ি ফেরার পথে, তৃণমূলের বুথ সভাপতি আম্বার আলির উপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় ৫-৬ জন দুষ্কৃতী। তৃণমূল নেতার চিত্কারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই হামলা চালিয়েছে। বিজেপির দাবি, হামলার নেপথ্যে অন্য কোন কারণ রয়েছে। ভোটের আগে ফায়দা লুটতেই বিষয়টিতে রাজনীতির রং লাগানো হচ্ছে।
প্রেক্ষাপট
হাওড়া: অমিত শাহ না এলেও, আজ হাওড়ার ডুমুরজলায় বিজেপির যোগদান মেলা হবে। উপস্থিত থাকবেন স্মৃতি ইরানি। ভার্চুয়াল সভায় দিল্লি থেকে ভাষণ দেবেন অমিত শাহ। সকাল থেকে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
এই যোগদান মেলায় আসার কথা ছিল অমিত শাহর। দিল্লি বিস্ফোরণের পর কর্মসূচি পরিবর্তন করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিজেপি সূত্রের খবর, এদিনের সভায় উপস্থিত থাকতে চলেছেন সদ্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বাকিরা। তার আগে, রাজীব দাবি করেন, এদিনের সভায় যোগ দেবেন আরও অনেকে।
গতকাল, দিনভর নাটকীয় পট পরিবর্তনের পর দিল্লিতে অমিত শাহর বাড়িতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রবীর ঘোষাল, বৈশালী ডালমিয়া, রুদ্রনীল ঘোষ-সহ ৬ জন। ট্যুইট করে শুভেচ্ছা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
শনিবার রুদ্রনীল ঘোষ বাদে বাকি পাঁচজনকে নিয়ে দিল্লি পৌঁছয় বিশেষ চার্টার্ড বিমান। সকলেই পৌঁছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বাসভবনে।
দেরি হয়ে যাওয়ায় অন্য বিমানে পরে দিল্লি পৌঁছন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। তিনি পরে বৈঠকে যোগ দেন। সেখানে প্রায় ৪৫ মিনিট বৈঠক হয়।
এরপর সরকারিভাবে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী ও ডোমজুড়ের বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া। হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী। রানাঘাটের সদ্য অপসারিত পুর-প্রশাসক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় এবং অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ।
এরপর প্রথমে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও তারপর একে একে সকলকে উত্তরীয় পরিয়ে বিজেপিতে স্বাগত জানান অমিত শাহ। দলে যোগ দিয়েই তৃণমূলকে আক্রমণ করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিতে যোগদানের পর এদিন তৃণমূলকে বিঁধতে ছাড়েননি বাকিরাও।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -