বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি: মণিপুরের ঘটনায় কড়া অবস্থান সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) । এই ঘটনায়, অসন্তুষ্ট প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। সরকার পদক্ষেপ না করলে, স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি সর্বোচ্চ আদালতের। ঘটনার রিপোর্ট চাইল সুপ্রিম কোর্ট, আগামীকাল এ নিয়ে শুনানি।


মণিপুরে (Manipur Violence) দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে নৃশংস অত্যাচারের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে সম্প্রতি। অন্তত মাস দুয়েক পুরনো এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে প্রবল সমালোচনা। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দেশের শীর্ষ আদালতও। মণিপুর সরকারের কাছ থেকে গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সূত্রের খবর,  সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়েছে, যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে এবং তাতে যা দেখা যাচ্ছে, তা সংবিধানের ঘোরতর অমর্যাদা।


জাতিগত হিংসার ঘটনা দু মাসেরও বেশি সময় ধরে জ্বলছে মণিপুর। বহু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ঘরছাড়া বহু নাগরিক। এবার যে ছবি সামনে এল তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানাবে। গণধর্ষণের পর দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর অভিযোগ। মাস দুয়েকের পুরনো এই ঘটনা সোশ্যাল সাইটে ভাইরাল হওয়ার পরেই সারা দেশে সর্বস্তরে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে। ঘটনার আড়াই মাস পর গ্রেফতার হয়েছে মূল অভিযুক্ত। ৪ মে মণিপুরের থৌবল জেলায় এই ঘটনা ঘটেছিল। যা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশ। এতদিন পুলিশ কেন কিছু করেনি, সে প্রশ্ন উঠেছে। এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, 'এটা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, চরম নিন্দনীয় ঘটনা।' আদালতে দোষীদের ফাঁসির আর্জি জানাবে সরকার, জানিয়েছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী।


কুকি ও মেইতেই জনগোষ্ঠীর মধ্যে লাগাতার হিংসার ঘটনায় ছাড়খাড় মণিপুর। দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছে। সংঘর্ষের জেরে কমবেশি সবপক্ষের সাধারণ মানুষের উপরেই বিপদ এসে পড়েছে। ঘর ছেড়ে শিবিরে দিন কাটাতে হচ্ছে অসংখ্য বাসিন্দাকে। হত্যা, লুঠ-অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটেই চলেছে। এই ঘটনায় দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপি সরকারকে নিশানা করেছে কংগ্রেস-সহ বাকি বিরোধীরা। এর আগে মণিপুরে গিয়েছিলেন অমিত শাহ (Amit Shah) | কিন্তু তারপরেও লাগাম দেওয়া যায়নি হিংসায়। তার উপর এমন ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় সেই আগুনে যেন নতুন করে জ্বালানি পড়েছে। এমন ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় নতুন করে হিংসা ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে বিভিন্ন মহলে। এই আবহে কেন্দ্র টুইটার এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে একটি নির্দেশ জারি করেছে এই ভিডিওটি সরিয়ে দেওয়ার জন্য। বলা হয়েছে, সামাজিক মাধ্যমকে ভারতীয় আইন মেনে চলতে হবে। কারণ এই বিষয়টি নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে।     


আরও পড়ুন: 'সারা দেশবাসী লজ্জিত...কখনও মাফ করা হবে না', কড়া প্রতিক্রিয়া মোদির