নয়াদিল্লি: আধার কার্ড জন্মতারিখের প্রমাণপত্র হতে পারে না বলে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। পথ দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে জন্মতারিখের প্রমাণপত্র হিসেবে আধার কার্ডকে বৈধতা দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু হাইকোর্টের সেই সিদ্ধান্তে সায় দিল না দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বরং জন্মতারিখের প্রমাণপত্র হিসেবে স্কুলের শংসাপত্রের গ্রহণযোগ্যতার উপর জোর দেওয়া হল। (Supreme Court)


বৃহস্পতিবার বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং ঊজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে। মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্চের আগের রায় খারিজ করে দিয়েছে আদালত। আধার কার্ড কখনও জন্মতারিখের প্রমাণপত্র হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না বলে এদিন জানান বিচারপতিরা। দুর্ঘটনায় মৃতদের বয়স যাচাই করার ক্ষেত্রে আধার কার্ডের চেয়ে স্কুলের শংসাপত্রকে ভরসা করার কথা বলেন বিচারপতিরা। ২০১৫ সালের এ প্রসঙ্গে জুভেনাইল জাস্টিস আইনের ৯৪ নং ধারার উল্লেখ করা হয়। (Aadhaar Card)


মোটর অ্যাক্সিডেন্ট ক্লেম ট্রাইবুনালের একটি মামলায় সম্প্রতি ক্ষতিপূরণের অঙ্ক ১৯ লক্ষ ৩৫ হাজার ৪০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৯ লক্ষ ২২ হাজার ৩৩৬ টাকা করে হাইকোর্ট।  আধার কার্ডে উল্লেখিত বয়স অনুযায়ী মৃত ব্যক্তির বয়স ৪৭ বলে সিলমোহর দেয় নিম্ন আদালত। হাইকোর্টের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন মৃতের পরিবার।


আদালতে মৃতের পরিবার জানান, আধার কার্ডে উল্লেখিত সাল-তারিখকে যুবকের আসল জন্মতারিখ হিসেবে ধরে আদালত। আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রমাণস্বরূপ মৃতের স্কুলের শংসাপত্র আদালতে পেশ করেন পরিবারের লোকজন। সেই শংসাপত্র অনুযায়ী, দুর্ঘটনার সময় মৃতের বয়স ছিল ৪৫ বছর। মৃতের পরিবারের সেই যুক্তিতেই এদিন সিলমোহর পড়ল।  সেই প্রসঙ্গেই জন্মতারিখের প্রমাণপত্র হিসেবে আধার কার্ডের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাতে বিচারপতিরা জানিয়ে দেন, জন্মতারিখের প্রমাণপত্র হতে পারে না আধার কার্ড।


আইন অনুযায়ী, পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে ন্যূনতম ক্ষতিপূরণ ৫০ হাজার টাকা। অঙ্গহানি হলে ন্যূনতম ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২৫ হাজার টাকা প্রাপ্য। সংসারে মৃত ব্যক্তির কী যোগদান ছিল, বয়স কত হয়েছিল তাঁর, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত, পরিবারে কাকে রেখে গেলেন মৃত, মৃতদেহ সৎকারের খরচ-খরচা অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের অঙ্ক ঠিক হয়। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিকে নির্দেশের ৩০ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক জমা করতে হয়।


আরও পড়ুন: Bengaluru Traffic Jam: ৩ কিমি যেতে ২.৩০ ঘণ্টা যানজটে আটকে, গাড়ি ফেলে হেঁটে বাড়ি ফিরলেন বহু