রাজ্যের স্কুলগুলিতে মাধ্যমিকের টেস্ট হয় নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে। উচ্চমাধ্যমিকের টেস্টও হয় একই সময়ে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ সব কিছু ওলটপালট করে দিয়েছে এবার। দশম শ্রেণির পড়ুয়ারা, যারা ২০২১-এ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসবে তারা স্কুলে গিয়ে ক্লাস করতে পেরেছে আড়াই মাসের মতো। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অবস্থা আরও সঙ্গীণ। স্কুলে গিয়ে একটি ক্লাসো করতে পারেনি।এই প্রেক্ষাপটে টেস্ট ছাড়াই প্রায় ১৮ লক্ষ পড়ুয়াকে মাধ্য্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকে বসার ছাড়পত্র দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অর্থাত্, দশম এবং দ্বাদশে পাঠরত প্রত্যেক পড়ুয়াই মাধ্যমিক ও উচ্চমধ্যমিকে বসার সরাসরি সুযোগ পাবে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
সাধারণত ফেব্রুয়ারিতে মাধ্যমিক পরীক্ষা হয়। উচ্চমাধ্যমিক হয় মার্চে। কিন্তু এবার পরীক্ষা কবে হবে তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত জানায়নি সরকার। নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা হবে, না কি পরীক্ষা পিছোবে? সিলেবাস কতটা কাটছাঁট করা হবে? এ সব নিয়ে সরকারি স্তরে আলোচনা চলছে বলে সূত্রের খবর।
বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট। তার আগে শিক্ষক নিয়োগের কথাও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। টেট-এ যাঁরা উত্তীর্ণ, তাঁদের ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে সাড়ে ১৬ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ হবে। এমনকী নতুন করে টেট নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । ইতিমধ্যে প্রাথমিক টেটের জন্য প্রায় আড়াই লক্ষ আবেদনপত্র জমা পড়েছে। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পরীক্ষা হবে অফলাইনে। যাঁরা টেট উত্তীর্ণ তাঁদের নিয়োগ হবে ধাপে ধাপে।
এদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ অনুপস্থিত ছিলেন। এঁদের মধ্যে গৌতম ও রবীন্দ্রনাথ অসুস্থ বলে এদিনের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI