নয়াদিল্লি: ভারত থেকে করোনার (Corona) ওমিক্রন (Omicron) ভ্যারিয়েন্ট চলে যায়নি। তবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গিয়েছে। এমনটাই দবি কেন্দ্রের। শুধু তাই নয়, নিজেদের কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে বলেও জানাল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) তরফে এদিন লব অগ্রবাল বলেন, “ভারতে এখনও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হয়েছে। সারা বিশ্বের তুলনায় এই পরিস্থিতিতে মানুষের জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রে ২৩ গুণ ভাল কাজ করেছি আমরা।‘’


একইসঙ্গে এদিন তিনি আরও বলেন, “ওমিক্রন সংক্রমণের তীব্রতা থেকে ভারতকে বাঁচিয়েছে টিকাকরণ। এর আগের করোনার ঢেউয়ের থেকে ৬ গুণ মারাত্মক ছিল এই ঢেউ। সারা বিশ্বে ৯৯টি দেশকে টিকা দিয়েছে ভারত। মাত্র ১৪৫ দিনের মধ্যে ২৫০ মিলিয়ন টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে এই দেশে। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে গর্ব হচ্ছে যে ১.৮১ বিলিয়ন টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে সারা দেশে।‘’


চিনে (China) আবার বাড়ছে করোনা। বেশ কিছু শহরে জারি হয়েছে লকডাউন (Lockdown)। এই প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, ভারতেও কি আছড়ে পড়তে পারে করোনার চতুর্থ ঢেউ ? চিকিৎসকদের একটা অংশ এনিয়ে সতর্ক করলেও, আরেকটা অংশ মনে করছেন, এখনই এরকম সম্ভাবনা নেই। দেশে করোনা গ্রাফের (Coronavirus Graph) ওঠানামা চলছেই। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৫৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরই মধ্যে কোনও কোনও বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, ভারতে চতুর্থ ঢেউ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। 


ভারতে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করেন, গত এক বছরে ভারতে দ্রুত গতিতে টিকাকরণ হয়েছে। ভারতে প্রায় ৮১ কোটি মানুষ ভ্যাকসিনের দু’টো ডোজ পেয়ে গেছেন। ফলে চিনে করোনা বাড়ছে বলেই ভারতেও তা থাবা বসাবে, এমনটা নয়।  এপিডেমিওলজিস্ট এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ চন্দ্রকান্ত লাহারিয়া (Dr Chandrakant Lahariya, an epidemiologist and public health specialist) বলেছেন যে, করোনার নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্টের এই মুহূর্তে আছ়ড়ে পড়ার সম্ভাবনা কম। তিনি আরও বলেন, "মাস্কের বিষয়ে কড়াকড়ির পর্যালোচনা করতে পারে কেন্দ্র।''


আরও পড়ুন: Covid Booster Dose: এবার ১৮র ঊর্ধ্বে সকলকে বুস্টার ডোজ?