নয়াদিল্লি: এককালে রাজ্যে তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গীও বলা হতো তাঁকে। কিন্তু বিজেপি-তে (BJP) গিয়ে এখন দিন রাত সেই তৃণমূলকেই বিঁধে চলেছেন তিনি। বিশেষ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) বার বার নিশানা করেছেন তিনি। নাম না করে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন। তা নিয়ে আগেও সরব হয়েছিলেন অভিষেক। এ বার শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) শিক্ষাদীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন (TMC) অভিষেক। এবিপি নিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন। 


এবিপি নিউজের প্রতিনিধি মনোজ্ঞা লোইওয়ালের সঙ্গে কথোপকথনে বাংলার রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করেন অভিষেক। সেখানেই উঠে আসে শুভেন্দুর প্রসঙ্গ। সরাসরি নাম না করলেও, 'ভাইপো' বলে যাঁকে নিশানা করেন অভিষেক, সেই ব্যক্তি যে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের ভ্রাতুষ্পুত্র ছাড়া কেউ নন, বার বারা উঠেছে অভিযোগ। এমনকি বিষয়টি নিয়ে তুমুল তরজাও হয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে।


সেই নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাইলে নিজের অবস্থান জানালেন অভিষেক। তাঁর কথায়, "এ থেকে শুভেন্দু অধিকারীর সংস্কৃতি, তাঁর শিক্ষাদীক্ষা কী, পরিষ্কার বোঝা যায়। আমার নাম আছে। নাম নিয়ে বলো না! নাম মুখে আনার দম নেই। আগেও এ নিয়ে নিজের অবস্থান জানিয়েছি। বলেছি, আমার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ আনছো, প্রমাণ করে দেখাও। হাতে সিবিআই, ইডি, আয়কর রয়েছে। তৃণমূলের হাতে তো কেউ নেই! যখনই ডাকে, যাই। আইনের প্রতি দায়বদ্ধ নাগরিক আমি। তদন্তে সহযোগিতা করি।"


আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee Exclusive: কাটমানি আসলে কী…ব্যাখ্যা করলেন অভিষেক, বোঝালেন ‘বাংলা মডেল’ও


বার বার তাঁকে ডেকে পাঠানো, তাঁদের দলের নেতাদেরেই নাম উঠে আসা, এ সবের মধ্যে কি রাজনীতি রয়েছে বলে মনে করছেন অভিষেক? অভিষেকের ইঙ্গিত সেই দিকেই। তাঁর বক্তব্য, "সব কিছুতে রাজনীতি রয়েছে। ভাবে, ইডি, সিবিআই ডেকে ভয় দেখালে, ধমকালে তৃণমূল ভয় পেয়ে যাবে। এখানেই বাকি দলের থেকে তৃণমূল আলাদা। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত মানুষের জন্য় লড়াই চালিয়ে যাব। পাশে থাকব। সব রয়েছে আপনাদের কাছে, যা ইচ্ছা করে যান। ১০ পয়সার অভিযোগ প্রমাণ করে দেখাও, ফাঁসির দড়ি পরে নেব গলায়। বিজেপি-র কোনও নেতার দম থাকলে বলো।"


শুধুমাত্র অন্য দলের নেতাদেরই ইডি-সিবিআই দেখানো হয়, বিজেপি-তে গেলেই সব ধুয়েমুখে সাফ হয়ে যায় বলেও কটাক্ষ ছুড়ে দেন অভিষেক। তাঁর বক্তব্য, "অপরাধ করে বিজেপি-তে গেলেই সব ধোয়া তুলসিপাতা, মোমের পুতুল হয়ে যায়। ওয়াশিং মেশিন বিজেপি, সেখানে সব নোংরা ধুয়ে যায়। যে সব নেতাদের ক্যামেরায় টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, হাত বাড়িয়ে টাকা নিচ্ছেন নেতা, সে ঘুষ হোক বা অনুদানের টাকা, মানুষ তে দেখেছেন! আজ বিজেপি-তে গিয়ে ওই নেতা পরিষ্কার! অসমের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কত অভিযোগ, কিন্তু বিজেপি-তে গিয়ে শুদ্ধ হয়ে গিয়েছেন। একসময় মুকুল রায়ের বিরুদ্ধেও বলা হত। তিনি যতদিন বিজেপি-তে ছিলেন, পরিষ্কার ছিলেন, এখন ফের তৃণমূলে এসেছেন বলে আক্রমণ শুরু হয়েছে।"