অযোধ্যা: অযোধ্যায় নবনির্মিত রামমন্দিরের উদ্বোধনে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। রবিবার 'রামলালা'র মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠার পর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বললেন, "মনে হচ্ছে ত্রেতা যুগে এসে পড়েছি।" এত বছরের অপেক্ষা এতদিনে পূর্ণতা পেল বলেও জানান যোগী। ভাষণ দিতে গিয়ে যোগী জানান, আজকের এই মুহূর্তকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না তিনি। (Yogi Adityanath)
রবিবার অযোধ্যায় নবনির্মিত রামমন্দিরের শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গর্ভগৃহে 'রামলালা', অর্থাৎ রামচন্দ্রের শিশুকালের মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠাও হয় তাঁর হাতেই। মোদি এদিন যজমানের ভূমিকা পালন করেন কার্যত। সেখানে গোটা অনুষ্ঠানে মোদির পাশে দেখা যায় যোগীকে। মোদি মঞ্চে ওঠার আগে ভাষণ দেওয়ার পালা আসে তাঁর। সেখানেই বক্তৃতা করতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন যোগী। (Ayodhya Ram Mandir Inauguration)
হাজার হাজার অতিথিদের সামনে ভাষণ দিতে গিয়ে যোগী বলেন, "আজকের এই দিনটির জন্য বহু বছর অপেক্ষা করেছে ভারত। ৫০০ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার পর শেষ মেশ রামমন্দিরের নির্মাণ সম্পন্ন হল। আমার মনে কিছু অনুভূতি রয়েছে, যা ব্যক্ত করার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না আনি। প্রত্যেকেই আজ আবেগপ্রবণ, খুশি। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে, প্রত্যেক শহর, প্রত্যেক গ্রাম, গোটা দেশ অযোধ্যায় পরিণত হয়েছে। সব সড়ক রামজন্মভূমিতে এসে মিশছে। সব চোখে অশ্রু। মনে হচ্ছে ত্রেতা যুগে এসে পড়েছি।" প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের উল্লেখ করে যোগী বলেন, "মন্দির বহি বনা হ্যায়, জহাঁ বানানে কা সঙ্কল্প লিয়া থা (মন্দির সেখানেই হয়েছে, যেখানে নির্মাণের সঙ্কল্প গৃহীত হয়েছিল)"।
রামমন্দির নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এর আগেও স্মৃতিচারণ করতে দেখা গিয়েছে যোগীকে। সম্প্রতি তিনি জানান, রামজন্মভূমি আন্দোলন থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই সন্ন্যাস গ্রহণ করেন তিনি। এদিনও বার বার অতীতের কথা উঠে আসে তাঁর ভাষণে। যোগী বলেন, "বর্তমান প্রজন্ম, বিশেষ করে রামমন্দির নির্মাণে অংশ নিয়েছেন যাঁরা, আজকের এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে নিজেদের ধন্য মনে করছেন তাঁরা।"
যোগীর কথায়, “আজ গোটা পৃথিবী থেকে মানুষ অযোধ্যা আসতে উন্মুখ। সংস্কৃতির রাজধানী হয়ে উঠেছে অযোধ্যা। আজ ভারতের গর্ব আবারও পুনর্স্থাপিত হল। এই মন্দির গোটা দেশের। এই মুহূর্ত ঐতিহাসিক।”