নয়াদিল্লি: দেবভূমিতে এবার নদীতে গিয়ে পড়ল যাত্রীবোঝাই টেম্পো ট্রাভেলর। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্য়ুর খবর মিলেছে। আহত হয়েছেন অনেকে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত উদ্ধারকার্য চলছে. উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং পুলিশ। (Uttarakhand Tempo Accident)


শনিবার উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ জেলার অন্তর্গত রাইটোলিতে ঋষিকেশ-বদ্রীনাথ হাইওয়ের উপর এই দুর্ঘটনা ঘটে। ওই টেম্পো ট্রাভেলর, যা আকারে ছোট বাসের মতো, তাতে মোট ২৩ জন যাত্রী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। হাইওয়ে ধরে ছুটে চলার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে উল্টে যায় গাড়িটি। এর পর গা বেয়ে অলকানন্দা নদীতে পড়ে যায় সেটি। এখনও উদ্ধারকার্য চলছে সেখানে। (Uttarakhand Road Accident)



দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন যাঁরা, তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি। তাঁর বক্তব্য, ''ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, আপনার চরণে জায়গা পান মৃতদের আত্মা। ওঁদের পরিবারকে শক্তি দিন এই কঠিন সময় কাটিয়ে উঠতে। বাবা কেদারের কাছে আর্জি, আহতদের দ্রুত সুস্থ করে তুলুন'। কী ঘরে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তার কারণ খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান পুষ্কর। 



রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কম্যান্ডান্ট মণিকান্ত মিশ্র জানিয়েছেন, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গাড়িতে ২৩ জন ছিলেন বলে যদিও জানা যাচ্ছে। কিন্তু মণিকান্তের দাবি, সঠিক যাত্রীসংখ্যা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থলে অ্যাম্বুল্যান্স এবং মেডিক্যাল টিমও উপস্থিত রয়েছে। 


আরও পড়ুন: Bhagwat-Yogi Meet: যোগী সাক্ষাতে ভাগবত, হঠাৎ উত্তরপ্রদেশে সঙ্ঘ প্রধান, RSS-BJP সংঘাতই কি কারণ?


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, 'উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগ থেকে দুঃখজনক খবর পেলাম। এই দুর্ঘটনায় প্রিয়জনকে হারিয়েছেন যাঁরা, তাঁদের সমবেদনা জানাই। স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে। সবরকম ভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে আহতদের। তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি'।


শুধু উত্তরাখণ্ডই নয়, আজ রাজস্থানের ভরতপুর জেলার সেওয়ার থানা এলাকাতেও দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেখানে একটি বাস এবং ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে, যাতে দু'জন মারা গিয়েছেন। আহত হয়েছেন ছ'জন। ভারতপুরের RBM হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আহতরা।