সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা : উমা বাড়ির পথ ধরার জন্য বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গেই তিলোত্তমার জায়গায় জায়গায় নামল ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় আকাশ কালো করে বৃষ্টি নামে। পাশাপাশি হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনার একাধিক জায়গাতেও বৃষ্টি নামে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরে দশমীর রাত থেকেই কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়েই বাড়বে বৃষ্টির রেশ। কলকাতার পাশাপাশি নদিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বেশি বৃষ্টি হতে পারে দশমীর রাতে। শনিবার থেকে গোটা দক্ষিণবঙ্গজুড়ে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সঙ্গে উপকূলের কিছু এলাকায় দু-এক পশলা ভারী বৃষ্টির আশঙ্কার কথাও জানানো হয়েছে। সবমিলিয়ে আগামী কয়েকদিন ধরে গোটা দক্ষিণবঙ্গেই বৃষ্টি বাড়বে।



বৃষ্টির আশঙ্কার মধ্যে কার্যত গোটা পুজো কেটেছে। যদিও সৌভাগ্যবশত ষষ্ঠী-সপ্তমীর মতোই অষ্টমীও কেটেছে নির্বিঘ্নেই। অষ্টমী থেকে বরুণদেবের চোখ রাঙানোর আশঙ্কা থাকলেও তেমনটা হয়নি। নবমী-দশমীও নির্বিঘ্নেই কেটেছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসে ছিল পুজোর মধ্যে বৃষ্টির ভ্রুকুটি। যদিও তেমনটা হয়নি। উত্তর আন্দামান সাগরে তৈরি হয়েছিল নিম্নচাপ। তার অভিমুখ ছিল দক্ষিণ ওড়িশা ও উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে। এই নিম্নচাপের জেরে, অষ্টমীর দিন উপকূলের জেলা, অর্থাৎ দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর ও কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে বৃষ্টির আশঙ্কা ছিল। নবমী-দশমী বাড়তে পারে বৃষ্টির পরিমাণ। তবে, উত্তরে আবহাওয়ার উন্নতি হবে। আগামী এক সপ্তাহে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।


এদিকে, মাঝে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা হওয়া বইতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আজ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৬ শতাংশ, ন্যূনতম ৭২ শতাংশ। 


চোখ রাঙাচ্ছে নিম্নচাপ, পুজোর আনন্দে ঢালবে জল? কবে, কোথায় বৃষ্টি, কী পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের


ঘূর্ণিঝড়ের মাঝেই নিম্নচাপের চোখ রাঙানি, ফের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে