নয়া দিল্লি: কোভিডকালে লাগামছাড়া অক্সিজেনের মূল্য নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। রোগীদের সুবিধায় অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের সর্বোচ্চ মূল্য বেঁধে দিতে পারে কেন্দ্র। এই বিষয়ে কাজও শুরু করেছে তারা। দিল্লি হাইকোর্টকে তেমনই জানিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্টকে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অ্যাডভোকেট কীর্তিমান সিং জানিয়েছেন, 'ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি' অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের প্রাইস নির্ধারণের ওপর কাজ করছে। দিল্লি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে বিচারপতি বিপিন সাঙ্ঘী ও বিচারপতি যশমীত সিং কেন্দ্রের এই বক্তব্য শুনে আগামী সোমবার পরবর্তী শুনানির সময় ধার্য করেন।
সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্টকে কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ও পালস অক্সিমিটারের দাম বেঁধে দিতে উদ্যোগ নিয়েছে। ইতিমধ্যেই পালস অক্সিমিটার ও অক্সিজেন কনসেনট্রেটর প্রস্তুতকারক অথবা আমদানিকারী কোম্পানিগুলিকে সাত দিনের মধ্যে প্রোডাক্টের ম্যাক্সিমাম রিটেল প্রাইস বা এমআরপি ডিটেইলস জমা দিতে বলা হয়েছে।
মূলত, একটি জনস্বার্থ আবেদনের ভিত্তিতেই দিল্লি হাইকোর্টে এই বক্তব্য রাখে কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের মূল্য ফিক্স করা নিয়ে হাইকোর্টে যান মনীষা চৌহান। তাঁর হয়ে আদালতে আবেদন করেন অ্যাডভোকেট নাজিয়া পারভিন ও সঞ্জীব সাগর। যেখানে দিল্লি সরকারকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিষেবা আইনের ৩ ধারা অনুসারে ওষুধ ও মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট সরবরাহ করার জন্য কোর্টের কাছে আবেদন করেন তাঁরা।
এখানেই থেমে থাকেনি সেই আবেদন। জনস্বার্থ আবেদনে কোভিডের ওষুধ ও মেডিক্যাল সরঞ্জাম নিয়ে কালোবাজারি করা লোকেদের সাজা দিতে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গড়ার কথা বলা হয়েছে। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বলছে, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে কদিন আগেও নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল দেশের। অনেক রাজ্যেই অক্সিজেনের পাশাপাশি রেমডিসিভিরের আকাল দেখা দেয়। অনেক ক্ষেত্রে বিপুল চাহিদা থাকায় এই ওষুধ নিয়ে শুরু হয় কালোবাজারি। খাস দিল্লিতে অক্সিজেন সিলিন্ডার মজুত করে দাম বাড়িয়ে দেয় অনেকে। যদিও দ্রুত তাদের গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। দক্ষিণের রাজ্যে রেমডিসিভিরের অতিরিক্ত দাম নিয়েও ধরা পড়ে কালোবাজারি। পরবর্তীকালে কোভিডের ওষুধ ও অক্সিজেন মজুত রাখলে গুন্ডা আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় কর্ণাটক সরকার।