কাবুল: দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন দেশের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় রয়েছে এর নাম। একের ধরার জন্য বিপুল পরিমাণের পুরস্কার মূল্যও ছিল। কিন্তু এর কোনও ছবি ছিল না। যা ছিল তা আদতে পিছন থেকে নেওয়া একটি ছবি, যাতে মুখের কিছুই বোঝা যায় না। সেই ব্যক্তি হলেন হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান এবং অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ তালিবান নেতা সিরাজুদ্দিন হাক্কানি। অবশেষে শনিবার আফগানিস্তানে পুলিশ বাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে প্রথমবার সরাসরি দেখা গেল তাঁকে। তোলা হয়েছে ছবিও। 


ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, 'আপনাদের সন্তুষ্টি এবং আপনাদের বিশ্বাস অর্জনের জন্য প্রকাশ্যে সংবাদমাধ্যমের সামনে আমি এসেছি।'


তালিবানের আফগানিস্তান পুনর্দখলের সময় থেকেই ভেসে বেরিয়েছে এই তালিবান নেতার নাম। আফগানিস্তান থেকে আমেরিকান সেনার চলে যাওয়া। তালিবান বিরোধী অংশের সঙ্গে যুদ্ধ। তারপরে দীর্ঘ দু দশক পর আফগানিস্তানের মসনদের দখল নিয়েছে তালিবান। তারপরেও আফগানিস্তানের সরকার গঠন করা নিয়েও দীর্ঘ সময় কেটেছে। এই সময়ের পুরোটাই আড়ালে থেকেছে তালিবানের অন্যতম প্রধান এই নেতা। শুধু তালিবানই নয়, জঙ্গি সংগঠন হাক্কানি নেটওয়ার্কেরও প্রধান ইনি। তালিবান সরকার গঠনের সময় মন্ত্রিত্ব পান তিনি। তার আগে থেকেই তালিবান প্রধান আখুন্দজাদার প্রধান তিনজন সহকারির মধ্যে ছিলেন হাক্কানি। 


সিরাজুদ্দিন হাক্কানিকে পাকড়াও করার জন্য তথ্য দিলে তার জন্য ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল আমেরিকা। আগের তালিবানি আমলে এবং তার পরে একাধিক সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের মস্তিস্ক হিসেবে নাম উঠে এসেছে সিরাজুদ্দিন হাক্কানির।


বিশেষজ্ঞদের মতে আফগানিস্তানে ক্ষমতা পুনর্দখলের পর থেকে তালিবানের আত্মবিশ্বাস যে আরও বেড়েছে তারই প্রমাণ সিরাজুদ্দিন হাক্কানির প্রকাশ্যে আসা।


আরও পড়ুন: ২০১৫ সালে প্রথম আসে নজরে, ২০২২ সালে আছড়ে পড়ল চাঁদে