নয়াদিল্লি: অবশেষে চাঁদের বুকে আছড়ে পড়ল বিপুল আয়তন রকেট। সাত বছর ধরে মহাকাশে ঘুরে বেরাচ্ছিল ওই মহাকাশযান। এদিন চাঁদের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় আছড়ে পড়ে ওই রকেট। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, রকেটটির (rocket) ওজন অন্তত ৩ টন। সংঘর্ষের অভিঘাতে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে চাঁদের ওই এলাকায়, জানিয়েছে বিজ্ঞানীরা। 


যদিও সংঘর্ষের মুহূর্ত ঘটনাবন্দি করতে পারেনি নাসার  Lunar Reconnaissance Orbiter. এই সংঘর্ষের ফলে চাঁদের জমিতে ঠিক কী হয়েছে। এতবড় অভিঘাতের পর চাঁদের (moon) বায়ুমন্ডলে কোনও পরিবর্তন হয়েছে কিনা তার জন্য গবেষণা শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। সেই তথ্য পাওয়া গেলে নির্দিষ্ট করে কিছু জানানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন তাঁরা।


যদিও এই রকেটের অংশ কোথা থেকে এসেতে তা নিয়ে এখনও ধন্দ রয়েছে। কখনও এটিকে স্পেস এক্সের (space x) রকেটের অংশ বলে সন্দেহ করা হয়েছে। কখনও আবার চিনা রকেট long march 3c-এর অংশ বলে সন্দেহ করা হয়েছে। যদিও সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে চিনা মহাকাশ সংস্থা।  


এই রকেটের অংশটি পৃথিবী থেকে প্রথম দেখা গিয়েছিল ২০১৫ সালে। অ্যারিজোনায় নাসা (nasa) সমর্থিত একটি সমীক্ষা চলছিল। সেখানেই প্রথম দেখা যায় এটি। কিন্তু কোনও গ্রহাণু নয় বোঝার পরেই এই বিষয়ে যাবতীয় উৎসাহ শেষ হয়ে গিয়েছিল সেই সময়। এই ধরনের রকেট বা মহাকাশযানকে space junk বলা হয়। সাধারণত কোনও মহাকাশযান বা স্যাটেলাইট থেকে ভেঙে বেরিয়ে যাওয়া কোনও অংশ বা এমন কোনও রকেট যেখানে পৃথিবীতে ফিরে আসার মতো জ্বালানি অবশিষ্ট নেই। সেগুলিকেই মহাকাশের বর্জ্য বা স্পেস জাহ্ক বলা হয়। বেশ কিছুক্ষেত্রে পৃথিবী থেকে অনেক দূরে মহাকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে এমন স্পেস জাঙ্ক। কিন্তু মহাকাশ নিরীক্ষণ অনেক খরচসাপেক্ষ এবং এতদূরের space junk থেকে পৃথিবীর ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকায় খুব বেশি নজরদারি করে না কোনও মহাকাশ সংস্থা।  


আরও পড়ুন:ছোট ব্যাগে ধরে যাবে এই ওয়াশিং মেশিন! দাম কত জানেন ?