ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা :  কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসে ৯ দিন ধরে নিখোঁজ বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ার-উল-আজিম (Anwarul Azim Anar missing)। রহস্যজনক অন্তর্ধানের তদন্তে নিউটাউনের একটি আবাসনে তল্লাশি চালাচ্ছে বিধানননগর কমিশনারেটের পুলিশ।


শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, সাংসদের ব্যবহার করা গাড়ির খোঁজ মিলেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ১২ মে ভারতে আসেন বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ার-উল-আজিম। তিনি বরানগরে এক পরিচিতর বাড়িতে যান। ওই ব্যক্তির দাবি, প্রথমে চিকিৎসককে দেখাতে যাচ্ছেন বললেও, পরে সাংসদ জানান দিল্লিতে তাঁর জরুরি বৈঠক রয়েছে।


চলতি মাসেই কলকাতায় চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন বাংলাদেশের সাংসদ। গিয়ে ছিলেন এক আত্মীয়র বাড়ি। তারপর গত ৯ দিন ধরে  নিখোঁজ  তিনি। বাড়ির থেকে বার বার ফোন করা হলে যখন যোগাযোগ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারা যায়নি। এরপরই সাংসদের পরিবার বাংলাদেশ মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা বিভাগে অভিযোগ জানায়। শুরু হয় তদন্ত। বাংলাদেশের তরফে যোগাযোগ করা হয় ভারতের পুলিশের সঙ্গে।  তদন্তে শুরু করে বিধাননগর কমিশনরেটের গোয়েন্দারা। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের পুলিশ তদন্তে নেমে ২ জনকে গ্রেফতার করে। তাঁরা সম্প্রতি কলকাতা থেকেই ফিরেছিল বলে খবর। তাদের বয়ানের উপর ভিত্তি করেই তদন্ত এগোয়। খতিয়ে দেখা হচ্ছে আবাসনে সিসিটিভি ফুটেজ।


আটক ব্যক্তিদের স্বীকারোক্তিতে রহস্য আরও বেড়েছে ! ওই ব্যক্তিদের জেরা করেই জানা যায়, খুলনার ঝিনাইদহ এলাকার সাংসদ আনোয়ার নিউটাউনের একটি বিলাসবহুল আবাসনে গিয়েছিলেন। বিধাননগর পুলিশ সেই কথার উপর ভিত্তি করে ওই অভিজাত আবাসনে তল্লাশি চালায়। জানা গিয়েছে সেখানে সাংসদ উঠলেও, তাঁকে বেরোতে দেখা যায়নি। বরং অন্যদের বেরিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। 


খতিয়ে দেখা হচ্ছে আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজ। পুলিশ সূত্রে খবর, আবাসনের ওই ফ্ল্যাটে রক্তের দাগ মিলেছে। তবে এর বেশি আর কিছু জানা যায়নি।  পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বিলাসবহুল আবাসনে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন বাংলাদেশী সাংসদ। ‌সেই সঙ্গে বিধান নগর পুলিশ কথা বলে কলকাতায় তাঁর পরিচিতর সঙ্গেও। কারণ তাঁরাও মিসিং ডায়েরি করেছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর।  এখন ঘটনা কোনদিকে মোড় নেয় সেই দিকে নজর দু-দেশেরই।  


আরও পড়ুন :                             


রেমাল এখন কি পরিস্থিতিতে ? কেন এমন নামকরণ? মানেই বা কী?