নয়াদিল্লি: প্রকাশ্য দিবালোকে পশ্চিম জাপানের নারা শহরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেলেন জাপানের (japan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে (shinzo abe)। ভারত-সহ (india) গোটা বিশ্ব তোলপাড়। ইতিহাস বলছে, আগেও আততায়ীর (assasination) গুলিতে প্রাণ দিয়েছেন একাধিক দেশের প্রধান (worldleaders)। তালিকাটা খুব ছোট নয়।
মোহনদাস করমচন্দ গাঁধী
৩০ জানুয়ারি, ১৯৪৮। দিল্লিতে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পর পর তিনটে গুলি করে 'জাতির জনক'-কে খুন করেন নাথুরাম গডসে।
ইন্দিরা গাঁধী
৩০ অক্টোবর, ১৯৮৪। নিজেরই দুই দেহরক্ষীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী। অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে অভিযানের বদলা নিতেই হামলা, দাবি হামলাকারীদের।
রাজীব গাঁধী
২১ মে, ১৯৯১। সাধারণ নির্বাচনের প্রচার করার সময় বিস্ফোরণে মৃত্যু ইন্দিরা-পুত্র রাজীব গাঁধীর। ফুলের মধ্যে বোমা লুকিয়ে ছিল হামলাকারীরা। নিশানায় তামিল টাইগার্স।
বেনজির ভুট্টো
২৭ ডিসেম্বর, ২০০৭। রাওয়ালপিন্ডিতে নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে মৃত্যু পাকিস্তানের নেত্রীর। ঘটনার দুমাসের মধ্যে নির্বাচন। বিপুল আসনে জয়ী ভুট্টোর দল পিপিপি।
আব্রাহাম লিঙ্কন
১৪ এপ্রিল, ১৮৬৫। ওয়াশিংটন ডিসির ফোর্ড থিয়েটারে নাটক দেখতে গিয়ে হত তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মাথার পিছন থেকে তাঁকে গুলি করেন জন উইলকিস বুথ।
মার্টিন লুথার কিং, জুনিয়র
৪ এপ্রিল, ১৯৬৮। মেমফিসে একটি মোটেলের বারান্দায় প্রাণঘাতী হামলা চলে মার্কিন মানবাধিকার আন্দোলনের এই কর্মীর উপর। অভিযুক্ত জেমস আর্ল রে।
জন এফ কেনেডি
২২ নভেম্বর. ১৯৬৩। ডালাসের একটি মোটরকেডের মধ্য়েই গুলি করে খুন করা হয় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। অভিযুক্ত প্রাক্তন নাবিক হার্ভে ওসওয়াল্ড। দুদিন পরে ওসওয়াল্ডকে গুলি করে মারেন এক নাইট ক্লাবের মালিক।
কাসেম সোলেমানি
৩ জানুয়ারি, ২০২০। মার্কিন ড্রোন হামলায় হত ইরানের শীর্ষ সেনা কমান্ডার। জবাবে ইরাকে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে জোড়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছিল ইরান।
আরও পড়ুন:শিনজো আবেকে শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় শোক ভারতে, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর