তেল আভিভ :  উত্তেজনা বাড়ছে মধ্যপ্রাচ্যে। হেজবোল্লা প্রধান নাসরাল্লার মৃত্যুর পর লেবাননে লাগাতার বোমাবর্ষণ শুরু করেছে ইজরায়েল। আগেই ইজরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে ইরানের মদতপুষ্ট সশস্ত্র সংগঠন হেজবোল্লার প্রধান সৈয়দ হাসান নাসরাল্লা।  এবার প্রাণ গেল হেজবোল্লার গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হাসান খলিল ইয়াসিনেরও। রবিবার ইয়েমেনের বিদ্রোহী শিয়া গোষ্ঠী হুথিদেরর ঘাঁটিতে এলোপাথারি হামলা চালায় ইজরায়েল । টার্গেট করা হয়েছে হুথি নিয়ন্ত্রিত বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সমুদ্র বন্দরকে। অন্যদিকে আবার হাইফা এবং উত্তর ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে হেজবোল্লা।  এই দাবি করে পোস্ট করেছে IDF ( ইরানের সামরিক বাহিনী ) । তাদের দাবি এই হানার পর ১০ লক্ষেরও বেশি ইজরায়েলের মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে, কাটাচ্ছে আতঙ্কের দিন। 


রবিবার ইয়েমেনে হামলার প্রসঙ্গে ইজরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী আইডিএফ এক্স-হ্যান্ডেলে  পোস্ট  করে জানায়  , ইজরায়েলের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক কালে যে হামলা হয়েছে, তার প্রতিক্রিয়া হিসেবেই ইয়েমেনে হুথি সন্ত্রাসীদের দখলে থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং একটি সমুদ্রবন্দরে আঘাত হানা হয়েছে। এই বন্দর ব্যবহার করে ইরানিরা অস্ত্র স্থানান্তর করত।  ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর দাবি, হুথিরা ইরানের নির্দেশে ও আর্থিক মদতে  ইজরায়েলের ওপর একের পর এক আক্রমণ করে গিয়েছে। আইডিএফ ইজরায়েলের নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখতে যা করার করবে। হুথিদের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে,  ইজরায়েলের হামলায় চারজন মারা গিয়েছেন। আহত হয়েছেন ২৯ জন। 


হেজবোল্লা প্রধান নাসারাল্লা মৃত্যুর পর, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ইরানের আয়াতুল্লাহ সরকারকে কড়া ভাষায় সতর্ক করেছে। ইজরায়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যারাই ইজরায়েলকে টার্গেট করবে, তাদেরই কঠোর পরিণামের সম্মুখীন হতে হবে।  ইরান  বা মধ্যপ্রাচ্যের কোনও জায়গাই ইজরায়েলের নাগালের বাইরে নয়। 






২০২৩ -এর অক্টোবর থেকেই উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য। ইজরায়েলের সঙ্গে প্যালেস্তিনীয় সংগঠন হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। এই সংঘর্ষে প্যালেস্তাইন এবং হামাসের পক্ষ নেয় হেজবোল্লা। সেই থেকে সীমান্ত এলাকায় ইজরায়েলের সঙ্গে তাদেরও সংঘর্ষ শুরু হয়। 


আরও পড়ুন : ইজরায়েলি হামলায় নিহত হেজবোল্লা প্রধান হাসান নাসরাল্লা, মধ্যরাতে মুহুর্মুহু বোমাবর্ষণে ধ্বংসস্তূপ লেবানন