ফুজিয়ান: করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দিশেহারা অবস্থা চীনের। শুধু উহানই নয়, গোটা দেশেই যেভাবে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে তাতে চীন সরকারের দুঃশ্চিন্তা আরও বাড়ছে। হাজার হাজার মৃত্যু। রোজ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে চীনের প্রশাসন ঝাঁপিয়ে পড়েছে আক্রান্ত নয় এমন মানুষদের নিরাপদে নিয়ে যেতে। ফুজিয়ান প্রদেশেও একই বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। নোভেল করোনা থেকে বাঁচতে শতাধিক মানুষকে একটি হোটেল এনে রাখা হয়েছিল। সেই হোটেল ভেঙে পড়ে আরও বিপাকে প্রশাসন। চীনের সরকারি সংবাদপত্র পিপলস ডেইলি-তে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী ৩৪ জনকে উদ্ধার করা হলেও এখনও ধ্বংসস্তূপে আটকে অন্তত ৭০ জন।

চীনা পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ৮০টি ঘর বিশিষ্ট এই হোটেলটি ২০১৮ সালে চালু হয়। করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে এই হোটেলটিকে ‘নিরাপদ আশ্রয়’ হিসেবেই ব্যবহার করা হয়। তবে তা হঠাৎ ভেঙে পড়ায় সমস্যা আরও বাড়ে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হোটেলটি ভেঙে পড়ে। উদ্ধার কাজে নেমে ২ ঘণ্টার মধ্যে ৩৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ফুজিয়ান প্রদেশের প্রশাসন জানিয়েছে সেখানে এখনও পর্যন্ত ২৯৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। দশ হাজারের ওপর মানুষকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলেও খবর।

উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও দ্রুত ছড়াচ্ছে নোভেল করোনা ভাইরাস। মৃতের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার। এর মধ্যে শুধুমাত্র চিনেই মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৯৭। চিন ছাড়িয়ে আরও ৯৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে নোভেল করোনাভাইরাস। বিশ্ব জুড়ে আক্রান্ত এক লক্ষেরও বেশি। চিন ছাড়া সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি ইরান, ইতালি এবং দক্ষিণ কোরিয়ায়। প্রাণঘাতী করোনার আক্রমণে ইতালিতে মৃত্যু হয়েছে ২৩৩ জনের। ইরানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৫। দক্ষিণ কোরিয়ায় চিনা ভাইরাসের হানায় মারা গিয়েছেন ৪৪ জন। প্রতিদিন নতুন নতুন দেশে ছড়াচ্ছে নোভেল করোনাভাইরাস। ভারতের দক্ষিণে অবস্থিত মালদ্বীপেও ২ করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে।